সালেক সুফী।।
সাফ্জয়ী মহিলা ফুটবল দলকে অলিম্পিক ফুটবল নির্বাচনী ম্যাচ খেলতে মায়ানমার পাঠানোয় বার্থতা নিয়ে ক্রমাগত কুৎসিত বচসা করেছে বিএফএফ প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন তুর্জ এবং বিসিবি সভাপতি সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন। সালাহউদ্দিনকে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি আমাদের সময়ের নন্দিত ফুটবলার হিসাবে। পাপনকে বিসিবির সভাপতি হওয়ার আগে ক্রীড়াঙ্গনে কখনো দেখিনি। আমি নিজে মেধাবী মেয়েদের দলকে মায়ানমার না পাঠানোয় ক্ষুব্ধ। মিডিয়ায় বলেছি ,লিখেছি। এতো সম্ভাবনাময় প্রমাণিত সফল একটি দলকে মাত্র কিছু টাকার দোহাই দিয়ে বিদেশে পাঠানো হবে না প্রবাসে থেকেও দেশীবাসীর একজন হিসাবে মেনে নিতে কষ্ট পাচ্ছি। কিছু আগে ব্যার্থতায় তলানিতে নিমজ্জিত বাংলাদেশ পুরুষ দলকে সিলেটের মাটিতে রাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে খেলার জন্য প্রস্তুত করতে মদিনায় পাঠানো হলো। অথচ দেশের গৌরব বয়ে আনা মেয়েরা যেতে পারলো না। আমি এই বিষয়ে নাজমুল হাসানের সঙ্গে একমত। সামান্য কিছু টাকা ৫০-৬০ লক্ষ টাকা দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে এখন অনেক ক্রীড়া প্রেমিকের আছে। সময়মতো জানালে অবস্যই প্রধানমন্ত্রী সংস্থান করতেন।
সালাহউদ্দিন এবং নাজমুল বহুদিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফেডারেশনের শীর্ষ পদ আঁকড়ে আছেন। ক্রিকেটে অনেক সাফল্য থাকলেও ফটবলে একমাত্র মেয়েদের দল ছাড়া চৈত্র মাসের নিদারুন খরা। আমি আমার সমসাময়িক কিংবদন্তি ফুটবলার সালাহউদ্দিন এবং বার্থ বিসিবির লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা সমীচীন বলে মনে করি।বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই সফল মেয়েদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেয়ার জন্য। আমি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একমত বিষয়টি অবশ্য তলিয়ে দেখা জরুরি কেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জাতিকে বিব্রত করলো?