সালেক সুফী।।
বাংলাদেশ আবহাওয়া পরিদপ্তর ,স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণে বেশ কিছু ভিন্নতার তথ্য মিলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে জনগণ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই ধরণের পরস্পর বিরোধী তথ্য পাওয়ায় এবং সাধারণভাবে নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতার অভাব থাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি থাকা সত্যেও সংশ্লিট এলাকার জনগণকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিতে বেগ পাচ্ছে প্রশাসন।
প্রতিবেশী দেশের আবহাওয়া দপ্তর মখার কেন্দ্রীয় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ২৪০ -২৭০ কিলোমিটার জানালেও বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে ১৯০-২১০ কিলোমিটার। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ঘূর্ণি ঝড়ের গতিবেগ ২১০ কিলোমিটারের বেশি হলেই মহা সাইক্লোন বিবেচিত হয়. এই বিভ্রান্তির কারণে হয়তো সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না।
বলা হচ্ছে মহা ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৯ টা থেকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন এবং কক্স।সবাজার উপকূলে আছড়ে পরে দুপুর দুইটা নাগাদ বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম , রাঙামাটি , খাগড়াছড়ি ,বান্দরবন হয়ে মায়ানমার চলে যাবে। বলা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হবে।আতঙ্ক হলো পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমি ধসের। সবচেয়ে বোরো শঙ্কা সেন্ট মার্টিন, কক্স;স বাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা নিয়ে এবং ভূমি ধসের কারণে পাহাড়ি এলাকায়।
প্রবাসে থেকে আমরা ভীষণ উৎবিঘ্ন। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া অনবরত আপডেট প্রদান করছে। সরকার যথেষ্ট তৎপর আছে জনগণের জানমাল রক্ষার। তবে জনগণের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব আছে।এছাড়া এতো মেগা প্রজেক্টস হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় কেন টেকসই বেড়িবাঁধ গড়ে তোলা হচ্ছে না।জানিনা মাতারবাড়ি মহেশখালী এলাকা সুরক্ষার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত কিনা ?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের জন্য বাড়িঘর প্রদান করছেন। এতদ সত্ত্বেও কেন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কেন মানুষদের সরানো যাচ্ছে না ? ঘূর্ণিঝড় থেকে হয়তো জনগণকে রক্ষা করা যাবে কিন্তু প্রবল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হবে।
পরিশেষে বলি বাংলাদেশ আবহাওয়া পরিদপ্তরের পূর্বাভাস কতটা নিখুঁত সেটি এবার প্রমান হবে।