তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে ‘রেয়ার’ সাইড এফেক্ট রয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মুখে দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নিলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি করেছিল সংস্থাটি। কোভিশিল্ড ছাড়াও ভ্যাক্সেজেরিয়া নামেও একটি প্রতিষেধক বাজারে এনেছিল ওই সংস্থা। কোভিশিল্ড টিকা অনেকেই নিয়েছেন। কিন্তু অন্যটির তেমন ব্যবহার হয়নি। এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার ভ্যাকসিন নেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তার।জেমি স্কটের মতো আরও অনেক টিকাগ্রহীতাই এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের পরিবারের তরফে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের হয়। সেই থেকে এই মামলাটি বিচারাধীন।
বিভিন্ন নথি এবং তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে নিজেদের নির্দোষের প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছে সংস্থা। এর আগে অ্যাস্ট্রেজেনেকা দাবি করেছিল, তাদের ভ্যাকসিনের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তারা বিশ্বাস করে না। শেষ পর্যন্ত আর সাইড এফেক্টের কথা চেপে রাখতে পারল না অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। সম্প্রতি ইউকে হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রেজেনেকা জানিয়েছে, খুব বিরল হলেও তাদের ভ্যাকসিন থেকে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS) বা টিটিএস হতে পারে। সাধারণত বিরল এই সিনড্রম হলে ব্লাড ক্লট হয়, প্লেটলেট কাউন্টও কমে যায়। মামলা চলাকালীন আদালত জানিয়ে দেয়, সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি হয় তা হলে জরিমানা দিতে হবে। সেটাই সত্যি হল শেষ পর্যন্ত। টিকা সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শিউরে উঠছেন টীকাগ্রহীতারা ।
সূত্র : ডেকান হেরাল্ড