হার্ট অ্যার্টাক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার হতে পারে। তবে দ্রুততার সঙ্গে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা জরুরি। আর তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
হৃদরোগ নিয়ে প্রায় ২৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা করে এথেরোস্ক্লেরোসিস রিস্ক ইন কমিউনিটি সার্ভিলেন্স স্টাডি।
২০১৮ সালের সেই গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আর এর মধ্যে অধিকাংশই হলেন নারী।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, মেনোপজের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়। যে কারণে করোনারি আর্টারি ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য হয়। সেখান থেকেও মহিলাদের শরীরের উপরস চাপ পড়ে। পরবর্তীতে সেখান থেকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঘটনা অনেক বেশি।
গত কয়েক বছরের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত তামাক ব্যবহার হার্টের রোগের অন্যতম কারণ। আর তাই একটু বেশি পরিশ্রম হলেই যদি শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হয় তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে নিয়মিত ভাবে রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও করতে হবে।
হৃদরোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, হাঁটা, ব্যায়ামেরও অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফাইবার, প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে। মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে।