স্পোর্টস ডেস্ক।।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রস্তাবে জাতিসংঘ ৬ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০১৪ সাল থেকে তাই বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে তা ঘটা করে পালিত হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া দিবসও এদিন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসকে সামনে রেখে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচী নিয়েছে। এবার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্রীড়াঙ্গন শেখ হাসিনার দর্শন।’ তবে দিনটিকে সামনে রেখে ক্রীড়াবিদদের একেকজনের মনোভাব একেকরকম।
উদযাপনের অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি র্যালি শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে হাইকোর্ট/শিক্ষা ভবন হয়ে পুনরায় শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে শেষ হবে। এর আগে র্যালির শুরুতে সকাল সাড়ে সাতটায় শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাফুফেতে রয়েছে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ, এলিট অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রা দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ দিবসটি নিয়ে বলেছেন , ‘দিবসকে সামনে রেখে র্যালি ও আলোচনা সভা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা পর্যায়ে তা পালন করা হচ্ছে। এবার রমজানের কারণে কিছুটা ছোট করে হচ্ছে। আমরা চাই যেন সবাই দিবসটি নিয়ে অবগত হয়।’
ক্রীড়াবিদরা দিনটি সামনে রেখে নানান বক্তব্য রেখেছেন। দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান যেমন বলেছেন, ‘ক্রীড়া দিবসের কথা শুনেছি। আমি দিবসটি পালন ইতিবাচকভাবে দেখি। ১০ বছর আগের বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চেয়ে এখন পরিবর্তন হয়েছে। সেটা সবার চোখে পড়ে। সব খেলাই কোনও না কোনোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সব খেলাকে কীভাবে একসঙ্গে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে।’
সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান বাবলুর অভিমত, ‘ক্রীড়াঙ্গন আরও ভালোভাবে এগোনো উচিত। মাঠ নাই যেখানে, সেখানে জোর দেওয়া উচিত। ক্রীড়াবিদদের আরও প্রশিক্ষণে রাখা উচিত। তরুণ প্রজন্ম যেন খেলার মধ্যে থাকে। তাহলে দেশের খেলাধুলা আরও এগিয়ে যাবে।’
উদীয়মান শুটার কামরুন্নাহার কলির মন্তব্য, ‘এই দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ দিন। খেলার মধ্যে থাকলে মাদক থেকে দূরে থাকা যাবে। ঠিকমতো পরিচর্যা হলে একসময় দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে সবাই।’