সালেক সুফী: তিনটি ওডিআই, তিনটি টি২০, একটি টেস্ট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সফরে আয়ারল্যান্ড এখন বাংলাদেশে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম বারের মতো দাপুটে সিরিজ জয় (ধবল ধোলাই সহ) যেমন আকাশ ছোয়া অর্জন ঠিক তেমনি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মিশনে, সম্ভব হলে জয় পেতে মুখিয়ে থাকবে আইরিশরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যেমন তাগিদ ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো খেলে নিজেদের প্রমাB করার তেমনি থাকবে আইরিশদের বাংলাদেশকে পরাজিত করার।
ইদানিং ওডিআই এবং টি২০ দুই ফরম্যাটে আইরিশদের খেলায় অনেক উন্নতির ছাপ। এমনিতেই দুটি সিরিজেই বাংলাদেশ ফেভরিট। কিন্তু সিরিজ জয় সহজ ভাবলে বাংলাদেশ ভুল করবে। সিরিজ শুরু হবে কাল বাদে পরশু সিলেটে তিনটি ওডিআই ম্যাচের মাদ্ধমে। আয়ারল্যান্ড ওডিআই স্কোয়াড: এন্ডি বলবার্নি ( অধিনায়ক), হারি ট্রাক্টার, গ্যারেথ ডেলানি, পল স্ট্রিং, কার্টিস ক্যামফার, ম্যাথু হামফ্রে, লড়কান টাকার, স্টিফেন দোহেনি, মার্ক আদায়ের, গৰ্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, এন্ডি ম্যাকব্রাইন, বেঞ্জামিন হোয়াইট এবং জোসুয়া লিটল
বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেইন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেইন, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসাইন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের ভিন্ন পরিবেশ এবং উইকেটে খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলে কিছুটা হলেও সেরা ব্যাটসম্যান ঘাটতি ছিল। হয়তো কিছুটা সহজভাবে নিয়েছিল সেরা ব্যাটসম্যানদের অন্যত্র খেলার সুযোগ দিয়ে বিকল্প যাচাই করার। আয়ারল্যান্ড কিন্তু সেরা দল নিয়ে এসেছে। তবু আমি বলবো অনেক উন্নততর বোলিং শক্তি আর বদলে যাওয়া ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশ ওডিআই সিরিজ ৩-০ জয় না পাওয়ার কারণ নেই।
জানিনা কোন ভরসায় মাহমুদুল্লাহকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। নিজের সেরা ফর্মে না থাকলেও মাহমুদুল্লাহ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মন্দ করেনি। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বাম হাতি স্পিনারকে বিশ্রাম দেয়াও মনঃপুত হলো না। অন্তত প্রথম দুই ওডিআই স্কোয়াডে ওদের বিশ্রাম দেয়া বুমেরাং হতেও পারে। তবে বলবো এই সিরিজে অবশ্যই তৌহিদ হৃদয়কে সুযোগ দেয়া উচিত। আফিফকেও উপরের দিকে ব্যাটিং করেই প্রমাণ করার সুযোগ দিতে হবে।
টি২০ সিরিজে সাকিবের সাফল্যের পর ওডিআই সিরিজে তামিমের অধিনায়কত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে থাকবে। বাংলাদেশের একশ্রেণির ক্রিকেট অনুরাগীদের স্মরণশক্তি জেলি ফিশার মত। ওরা অতি সহজেই অতীত ভুলে যায়। একজনকে বড় করতে অন্য জনকে হেয় করে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থানের জন্য পঞ্চপান্ডব বলে খ্যাত প্রতি জনের বিশাল অবদান আছে। আমি চাই দলীয় সংহতি বজায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি খেলোয়াড় যেন নিজেদের উজাড় করে বিজয় ধারা অব্যাহত রাখে।