দৈনিক ঢাকা নিউজ।।
নাম আরাভ খান। দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী। তবে তার এই নামের আড়ালেও আছে আরও নাম, পরিচয়ের আড়ালেও আছে পরিচয়। নানা সময়ে নিজে যেমন বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়েছেন, আবার একাধিক দেশের নাগরিকত্বও অর্জন করেছেন। জানা গেছে, ভিন্ন আটটি নামে অন্তত পাঁচ দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে এই জুয়েলারি ব্যবসায়ীর। গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি এই আরাভ খানই পলাতক রবিউল ইসলাম।
আরাভ নামে এই ব্যক্তি বাংলাদেশ, ভারত ও দুবাইয়ে ব্যাপক পরিচিত। সম্প্রতি দুবাইয়ের গোল্ড সুক এলাকায় নিজের নামে জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে নতুন করে আলোচনায় আরাভ। অথচ তার নামে রয়েছে খুনের ঘটনার মতো একাধিক অপরাধের অভিযোগ। ঢাকায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে চলে যান কলকাতায়। পাল্টে ফেলেন নিজের নাম। যেখানে গেছেন সেখানেই নতুন নামে পরিচিত হয়েছেন। কখনো তিনি আপন আহমেদ, কখনো সোহাগ, কখনো রাশেদুল ইসলাম, আপন মোল্লা, হৃদি শেখ, হৃদয়, রবিউল ইসলাম ও কখনোবা আরাভ খান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ থেকে রেড অ্যালার্ট জারির খসড়া তৈরি করা হয়। সেই খসড়া চূড়ান্ত করে সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১ পর্যন্ত পুলিশ সদরদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা নথিপত্র চূড়ান্ত করে। এই ফাইল অনুমোদন পেলেই আরাভ খানের বিরুদ্ধে জারি হয়ে যাবে রেড অ্যালার্ট।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে বনানীতে খুন হন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ জুলাই মামুনের ভাই ঢাকার বনানী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এই হত্যা মামলার ৬ নম্বর পলাতক আসামি আরাভ খান।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রেও তাকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে। মামলায় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) খেলার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভনে আরাভের বদলে আবু ইউসুফ লিমন নামের এক তরুণকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছিল। পরে জানাজানি হলে আদালত লিমনকে খালাস দেন। এ ঘটনায় আরাভ খানকে ডিবি পুলিশেও ডাকা হয়েছিল। অবশ্য পরে পাসপোর্টে নাম পরিবর্তন করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বনে যান কোটি কোটি টাকার জুয়েলারি শপের কর্ণধার।