সালেক সুফী।।
বাংলাদেশের কত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করে ? হয়তো বড়জোর ৩% বা ৪% . অনেকে সেখানে প্রবাসী। এদের অনেকে আবার ডিবি লটারির সৌভাগ্যমান। দেশের কৃষক শ্রমিক আপামর জনতার যুক্তরাষ্ট্রে যাবার প্রয়োজন নেই. তবে সরকারি আমলা , দুর্নীতিবাজ পেশাদার , রাজনৈতিক অনেকেই সে দেশে অর্থ পাচার করেছে , সম্পত্তি ক্রয় করেছে , ছেলে মেয়ে পড়াচ্ছে। নির্বাচনকে উপলক্ষ করে এখন যে বিধি নিষেধ জারি করা হলো তাতে ভয় ওই শ্রেণীর লোকদের। ঘোষণাটি পড়লেই প্রতীয়মান হবে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণ করি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায় দায়িত্ব প্রধানত সরকার এবং সরকারি দলের উপর বর্তায়। আর নিরপেক্ষ পরিবেশে জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে কি ঘটবে সেটি সবাই আঁচ করতে পারছে। সরকার যদি সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে তাহলে বিরোধী দল নির্বাচন বাধা গ্রস্থ করে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নিবে না. তাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে জনগণ সরকার নির্বাচন করবে। যত সহজে বলছি ঘটনাটি কিন্তু এত সহজ না।
দেখা যাচ্ছে ইদানিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স পাঠানো বেড়ে গেছে বহুগুন। করা পাঠাচ্ছে এই টাকা। তাদের তালিকা প্রনয়ন করে প্রকাশ করলেই জানা যাবে এগুলো প্রেরণকারীদের বৈধ আয় না বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ? জানা মতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার খরচ ইউরোপ ,অস্ট্রেলিয়া থেকে অপেক্ষাকৃত কম.তার পরেও বাংলাদেশের অনেক সাধরণ স্তরে চাকুরীজীবি কিভাবে ছেলে মেয়েদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়া লেখার খরচ যোগায় সেটি অনুসদ্ধান করা যেতে পারে। সবাই স্কলারশিপ পেয়ে পড়ছে না।
বাংলাদেশ থেকে শান্তি মিশনে সেনাবহিনী , পুলিশের অনেক কর্মকর্তা কাজ করে ভাগ্য ফেরায়। এখন যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো অজুহাতে আমেরিকার সক্রিয়তায় তাদের সুযোগ হারায় সেটি হবে দুঃখজনক. পরিস্থিতি আরো সংকটময় হলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি সীমিত হতে পারে। সবচেয়ে সংকট থাকবে দুর্নীতিবাজচক্র যারা সেদেশে অর্থ পাচার করেছে।
সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ট ,নিরপেক্ষ ,অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হলে দুই কুল রক্ষা হবে. আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাকে বাংলাদেশের জন্য কলঙ্ক মনে করি. তবে এর ভালো দিক আছে. আশা করি সবাই সংযত হবে।