আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নাটকীয় গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে রায় দেয়ার একদিন পর সুরক্ষিত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিচারকরা খানকে সুরক্ষিত জামিনে মুক্তি দেন, যার অর্থ তাকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় গ্রেপ্তার করা যাবে না।
এর আগে, ইমরান খান বিবিসিকে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন মুক্তির পরপরই তাকে আবার আটক করা হবে।
বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব এবং বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ পিটিআই প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
এই মামলার বিস্তারিত আদেশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, তবে ইমরান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার ব্যাপারে আপাতত মুক্ত।
জামিন শুনানির আগে ইমরান খান বলেন, তিনি মুক্তি পাওয়ার পরে অবিলম্বে পুনরায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন। তিনি কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেন, কারণ ‘এখানে বিশাল প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কারণ জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কেউ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’
পাকিস্তানে গত কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক সংকট এবং চরম উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে জানানো হয়, তাকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এরপর বৃহস্পতিবার তার গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে ঘোষণা দিয়ে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ইমরানের গ্রেপ্তারের পর দেশটিতে অস্থিরতার কারণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং প্রায় দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এই বিক্ষোভের মধ্যে ছিল লাহোরে এক সামরিক কমান্ডারের বাসভবনে হামলা ও আগুন দেয়ার মতো ঘটনা।
ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখওয়ার মতো অন্যান্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার পরে এই সপ্তাহের সহিংসতা শুরু হলেও দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।