সালেক সুফী।।
অনান্য নিরাপদ বিকল্প থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দশক সময় অপচয় করে ভোলার গ্যাস কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি ) করে ঢাকার শিল্পাঞ্চলে আনার বিশাল ঝুঁকি নিলো। বাংলাদেশে কিন্তু ইউরোপ ,আমেরিকা ,অস্ট্রেলিয়া ,জাপান ,কোরিয়া ,সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়ার উন্নত নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নেই , কোন পর্যায়েই অকুপেশন ,হেলথ ,সেফটি ( OHS ) বিষয়ে সচেতনতা নাই। রেগুলেটরি মনিটরিং শিথিল। জনসচেতনতার অভাব। সেখানে ২৫০০-৩০০০ পিএসআই চাপে ASME টিউবে করে ২৫০-৩০০ কিলোমিটার পরিবহনে অনেক ঝুঁকি থাকবে।
তাও ৫ এমএমসিএফডি গ্যাস সিএনজি করে আন্তে কত বিশাল আয়োজন। শুনলাম পেট্রোবাংলা এবং এমএমআরডি বলে পাইপ লাইন নির্মাণ করে গ্রিড সংযুক্তি না বিশাল খরচ এবং সময় সাপেক্ষ। দীর্ঘ দেড় দশক অপেক্ষা করে এই কথা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। ১৯৯৯ -২২০০ মার্কিন কোম্পানি কি না বুঝেই WRIP প্রকল্পের আওতায় শাহবাজপুর থেকে ভোলায় গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলো।
যাহোক স্থানীয় কোম্পানি ইন্ট্রাকোকে শুভ কামনা। আশা করি কম্প্রেশন , ডিকম্প্রেশন এবং ট্রান্সপোর্টেশনে কোনো দুর্ঘটনা হবে না।যদিও গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে দুর্ঘটনা ,বিস্ফোরণ এখন নিয়মিত ঘটনা,.সিএনজি ,এলপিজিতেও দুর্ঘটনা হচ্ছে। বেসরকারি খাতের কোম্পানিটির অপারেশন মনটিরিং করার মতো কারিগরি দক্ষতা সুন্দরবন গ্যাস, তিতাস এবং আরপিজিসিএল অথবা বিস্ফোরক পরিদর্শক দফতরের আছে কি ?