জেসমিন পারভিন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক কাকতালীয় উত্থানের নাম। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে ইউজিসির নীতি বিরোধী কার্যক্রম করে আসছেন। বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে বিশাল ফ্যামিলি ট্যুর নিতেন এই অতিরিক্ত পরিচালক। এই কর্মচারীর ফিল্মি স্টাইলে ভ্রমন বিলাস তামিল সিনেমাও হার মানিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার সময়কালে উপ-পরিচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক বনে যাওয়া ইউজিসির এই কর্মচারীর নামে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম বহিভূত কাজের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউজিসি নিয়ম বহিভূত কাজ করে দিয়ে ফ্যামিলি প্যাকেজ ট্যুরের সুবিধা নিতেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এই বিলাস-বহুল ট্যুর বহরে বাদ যেতেন না বাসার কাজের বুয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী ।
গত ১১/১০/২০২৪ তারিখ থেকে ১৩/১০/২০২৪ তারিখ শুক্রবার ,শনিবার ১৩.১০.২০২৪ তারিখে ৪৫ জনের একটি টিম খাজা ইউনুস বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিআইপি গেস্ট রুমে ৩দিন ২রাত অবস্থান করেন । যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমণ করেন, শাহজাদপুর রবীন্দ্রনাথের কাচারি বাড়ী, বাঘাবাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে গাড়ীতে, ভিসি,রেজিষ্ট্রার ,ডীনসহ শিক্ষকবৃন্দের সম্পূর্ণ প্রোটোকল নিয়ে গোপনীয়তার সাথে ইউজিসির নাম,সুনাম ও নিয়ম বহির্ভুত সকল ধরনের বিষয়কে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে পরিবার পরিজন,আত্মীয়স্বজন,স্বামী, স্বামীর বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী,পরিবারবর্গ ,বাবা মা, কাজের বুয়াসহ ৪৫জনের একটা বহর। থাকা-খাওয়া, আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে সকল ব্যয় খাজা ইউনুস বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে । রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় ও প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে এ অবৈধ সুবিধা গ্রহন করেন ।
এছাড়া তিনি টাকার বিনিময়ে কুইন্স ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করেন। এই অনিয়ম নিয়ে তদন্ত হয়।এই তদন্তে তিনি সরাসরি দোষী সাবাস্ত হন। এই তদন্তের রিপোর্ট আর আলোর মুখ দেখেনি।তৎকালীন স্বৈরাচারের দোসর যুবলীগ চেয়ারম্যান মির্জা আজম তার আপন খালাতো ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে এই অনিয়মকে ধারাবাহিক নিয়মে পরিনত করেন।
ইউজিসির নাম ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নেয়া ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভিনের অনিয়ম করে আসা নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কে পরিনত হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার আমল থেকে অনিয়ম করে আসা পর্দার আড়ালে থাকা এই নারী কর্মচারীর এই কর্মকান্ডে ইউজিসিতে নিয়োজিত কর্মচারীর বিরক্ত।
স্বৈরাচার হাসিনার সময়ে ইউজিসির অনেক কর্মচারী মুখ খুলতে না পারলেও অনেকে এখন একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। নাম মাত্র মূল্যে কাজ ভাগিয়ে নিয়ে ইউজিসির সুনাম ক্ষুন্ন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিলাস- বহুল ভ্রমন সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ সচ্চার ।ইউজিসির সুনাম এবং নিয়ম ভঙ্গ করে স্বৈরাচার হাসিনার আমল থেকে এখন পর্যন্ত এই সুবিধা যারা অব্যাহত রেখেছেন তাদের চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়ে আইন-আনুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক বলে দাবি জানিয়ে আসছেন সচেতন ইউজিসি কর্মচারীরা। ইউজিসি কর্তপক্ষ তথা মাননীয় চেয়ারম্যান ও সম্মানিত সদস্যবৃন্দের কাছে অনুরোধ বিষয়টি সুধু তদন্ত করে ইন্টারিয়াম সরকারকে সহযোগিতা করা । ক্ষমতাসীন হাসিনা সরকারের এই বডিগুলো সরিয়ে ইউজিসিকে কলকমুক্ত করার জোর দাবি জানিয়ে আসছে ইউজিসির একটি সচেতন মহল।