ক্রীড়া প্রতিবেদকঃসালেক সুফী।।
নিজেদের পয়মন্ত মাঠে পর পর দুটি ম্যাচ হেরে ৭ সিরিজ পর ঘরের মাঠে ওডিআই সিরিজ হারলো বাংলাদেশ ইংল্যান্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাবধান কতটুকু এখন অনুভব করছে বোদ্ধারা। প্রথম ম্যাচে না হয় লড়াই করে হেরেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে তুলোধুনা হয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের বেদম প্রহার করে চার ছয়ের প্লাবন ছিল ৩২৬/৭ রানের ইনিংস দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ বোলিং। জবাবে ৯ রানেই তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ হাশ ফাঁস করে ১৯৪ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। পরাজয় ১৩২ রানের। সিরিজ জিতে এখন হোয়াইট ওয়াশ করার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড। বর্তমান অবস্থায় সাগরে তান্ডব হয়ে চট্টগ্রামের ম্যাচ পরিত্যাক্ত না হলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন অলীক। ধরা যায় ধবল ধোলাই হবে বাংলাদেশ।
অনেকের ধারণা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর ইংলান্ডকেও হারাবে বাংলাদেশ। রকিবুল হাসান ,গাজী আশরাফ লিপু , খালেদ মাসুদ পাইলট আগাম বলেই দিলেন ২-১ সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড দল ওডিআই এবং টি ২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কথাটি যেন স্মরণে ছিল না. বাংলাদেশের অতিথি হয়ে এসে ভারোর কিংবদন্তি প্রিন্স অফ কলকাতা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছিলেন। কিন্তু বাস্তব ভিন্ন। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বর্তমান ক্রিকেটের ব্যাবধান ফুটে উঠেছে। প্রথম ম্যাচে ডেভিড মালান দেখিয়েছে কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলতে হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। এই দলকে নিয়ে যারা ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ের বা নিদেন পক্ষে সেমী ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখে তাদের কাছে অনেক প্রশ্ন। বিশ্ব ক্রিকেট অনেক পাল্টে গাছে। এখন আর শুধু কোথায় চিরে ভিজে না.
তামিম ,মুশফিক ,মাহমুদুল্লার ক্রিকেটে ভাটির টান , দুটি ম্যাচে ওদের তিন জনের একজনও ছন্দ পায় নি. সাকিবের আর শান্তর দুটি ইনিংস ছাড়া বলার মতো কেউ ব্যাটিং করেনি। এভাবে ব্যাটিং করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের তুখোড় বোলিং মোকাবিলা করা যায় না। প্রথম ম্যাচে বোলিং ভালো হলেই প্রচন্ড মার খেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ভিন্ন কিছু হবে ভাবার ভরসা পাই না।
তামিম কোন ভরসায় টস জিতে বোলিং নিয়েছিল? বাঁচা মরার ম্যাচে চাপ হীন ব্যাটিং করে ২৫০ করার প্রয়াস ভালো ছিল না? তৃতীয় ম্যাচে হারানোর কিছু নেই. মুশফিককে বিশ্রাম দিয়ে তওহিদ হৃদয়কে সুযোগ দেয়া যায়। লিটন কিপিং করতে পারে। তামিম ,শান্ত ওপেন করুক,সাকিব ৩ আর হৃদয় চারে ব্যাট করার পর লিটন ৫ নম্বরে ব্যাট করতে পারে। আমি মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিয়ে ইবাদাতকে সুযোগ দিতে বলবো। পরিবর্তনগুলো করলেই সবকিছু পাল্টে যাবে না।অন্তত টীম ম্যানেজমেন্ট দুজন পরিবর্তিত খেলোয়াড় যাচাই করতে পারবে।
কি ভাবছেন বিসিবি সভাপতি। অবান্তর কথা না বলে সিরিজ থেকে শিক্ষা নিলে ভালো হয়।