সালেক সুফী।।
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল গুলো অপসারণ এবং রক্ষনাবেক্ষন শেষে পুনঃস্থাপন পরিকল্পনায় দুর্যোদর্শিতা এবং পাশাপাশি গ্যাস গ্রিড থেকে তাৎক্ষণিক কিছু গ্যাস চট্টগ্রামে সঞ্চালন না করেএক্সসেলেব্রেট সমগ্র চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস ব্ল্যাক আউট হয়েছে। তখাকখিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দর্শনের সঙ্গে এই ঘটনা সাংঘর্ষিক। কেন রক্ষনাবেক্ষন শেষে ফেরা এক্সসেলেব্রেট ভাসমান টার্মিনাল সম্পূর্ণ মাত্রায় চালু হবার আগেই সামিট এনার্জি টার্মিনাল খুলে ফেলার কার্যক্রম হাতে নেয়া হলো? জানি চট্টগ্রাম রিং মেইন আনোয়ারা সিজিএস থেকে সরাসরি আর এলএনজি পায় ,সলিমপুর সিজিএস থেকেও আর এলএনজি পেয়ে থাকে চট্টগ্রাম বিতরণ অঞ্চল।
আপদকালীন সময়ে দ্রুত সার কারখানা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে বাখরাবাদ -চট্টগ্রাম ২৪ ইঞ্চি বাসের সঞ্চালন পাইপলাইন দিয়ে ১০০ মিলিয়ন গ্যাস সঞ্চালন করা হলে গ্যাস ব্ল্যাক আউট হতো না।
একসময় সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ হলে এমন পরিস্থিতি বহুবার আমি নিজে সামাল দিয়েছি। একে এফেসারু রক্ষনাবেক্ষন পরিকল্পনায় দূরদৃষ্টির অভাব তদুপুরি তাৎক্ষণিক বাবস্থাগ্রহনে ব্যার্থতা চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংকট সৃষ্টি করেছে। কয়েকদিন আগে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস বুমেরাং হয়ে ফিরেছে।
শুনলাম আজ রাত ১০ টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। মহেশখালী উপকূলের অদূরে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল একসঙ্গে চালু থাকা অবস্থায়ও গ্যাস ঘাটতি থাকে ১০০০-১২০০ এমএমসিএফডি। মার্কিন কোম্পানি এক্সেলেরেট পরিচালিত এফেসারু রক্ষনাবেক্ষন শেষে ফিরে এসে চালু হওয়ার আগেই সামিট এনার্জির এফেসারু খোলার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।উচিত ছিল অন্তত এক্সসেলারেট এফেসারু পূর্ণমাত্রায় চালু হওয়ার পর ওপর এফেসারু খোলার কার্যক্রম শুরু। আমি গ্যাস গ্রিড অপেরেশনেও দক্ষতার অভাব দেখি। কি বলবেন পেট্রোবাংলা ? কি বলবে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ?