নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলায় হাতিয়ায় তমরদ্দি লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ আলীর দোসর বলে অভিযুক্ত করছেন। এসব কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় পদ বদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।\পরিষদ থেকে অন্যজনকে ইজরা দেওয়ার ফলে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে বলে করছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় পর্যায়ে এসব জটিলতা নিরসনে হিমসিম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে একই ঘাট বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে একজনকে এবং জেলা পরিষদ থেকে অন্যজনকে ইজরা দেওয়ার ফলে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে বলে করছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় পর্যায়ে এসব জটিলতা নিরসনে হিমসিম খেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৩৬ লাখ ৭১ হাজার ৫শ টাকা মূল্যে তমরদ্দি লঞ্চঘাট (ঘাট-পয়েন্ট/খাল-টোল ষ্টেশন) হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠজন, আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম মাওলা কাজলের সাথে ইজরা চুক্তি সম্পাদন করে। কিন্তু ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কাজলের অধীনে ঘাটে মালমাল লোড আনলোডে নিয়োজিত শ্রমিকরা চলে যান। এরপর ৬ আগষ্ট ঘাটে কোন লঞ্চ আসেনি। ৭ আগষ্ট থেকে ঘাটের এ অচলাবস্থা কাটাতে শ্রমিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মালমাল লোড আনলোডের দায়িত্ব নেন।
এদিকে ২০ আগষ্ট হাতিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: আলমগীর কবির বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনে ঘাটের ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজলকে ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসর’ উল্লেখ করে তার ইজারা বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন। হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো: ফজলুল আজিম আবেদনটিকে ‘জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করার শর্তে সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতিয়া উপজেলা ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি ইয়াকুব আলী এক মাস ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়াকুব আলীও ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
এরপর থেকে ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজলের ভগ্নিপতি জাফর উল্লা মিলাদ শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘাটে মালামাল লোড আনলোডের দায়িত্ব নেন। তিনি ৯৫ জন শ্রমিক দিয়ে মালামাল লোড আনলোডের মাধ্যমে আয়ের টাকার একটা অংশ শ্রমিকদের দিয়ে বাকিটা ইজারাদারকে দেন।
তবে, এ প্রক্রিয়ায় মিলাদকে সামনে রাখা হলেও নেপথ্যে ইজারাদার মাওলা কাজলের সাথে আতাতের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ঘাট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তোলেন তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারভীর হায়দার তান্নার অনুসারীরা।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর একই ঘাট একই অর্থ বছরের জন্য নোয়াখালী জেলা পরিষদ থেকে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যে তারভীর হায়দার তান্নার অনুসারী বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনকে ইজারা দেওয়া হয়।
এরপর থেকে তারভীরের অনুসারীরা ঘাটে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যার জেরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এ সময় নারী সহ অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং ঘাটের পাশে শ্রমিক দলের কার্যালয় এবং শ্রমিকদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ কামরুল ইসলাম নামে শ্রমিক দলের এক কর্মী বাদী হয়ে তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার তান্নাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরদিন আকলিমা বেগম নামে এক নারী ঘাটে মালামালের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে ও তার বোন নাসিমা বেগমকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে আলমগীর কবির ও গোলাম মাওলা কাজলসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার তান্নাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৭ মার্চ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হারুনুর রশিদ আজাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভির হায়দার তান্নাকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: আলমগীর কবিরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ১৩ নভেম্বর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল রহমান অ্যাডভোকেট স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়, আলমগীর কবির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ১০ নভেম্বর আলমগীর কবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া নোটিশের জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলমগীর কবির বলেন, হাতিয়ার বাসিন্দা নন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির এমন এক নেতা আমাকে হাতিয়ায় তার পক্ষে কাজ করার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়ায় তিনি প্রতিহিংসা থেকে জেলা কমিটিকে দিয়ে আমাকে শোকজ লেটার পাঠান। শোকজ লেটারের জবাব দেওয়ার পরও আমাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অথচ আমার প্রতিপক্ষ আমাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে প্রচার করছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। তাদেরই চক্রান্তে আমাকে জড়িয়ে কিছু মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। আমি এসব মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদের প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজলের সাথে আতাতের মাধ্যমে লঞ্চঘাটে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রতিপক্ষের অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, কাজলের ইজারা বাতিলের জন্য আমি নিজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি, কিন্তু চলতি বছরের জুন পর্যন্তি তার ইজারার মেয়াদ থাকায় ইজারাটি বাতিল করা হয়নি। এই পরিপেক্ষিতে ইজারাদারের ভগ্নিপতি জাফর উল্লা মিলাদের মাধ্যমে ঘাটে মালামাল লোড আনলোডের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে আমার কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।
বরং তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি’র বহিস্কৃত সভাপতি তানভীর হায়দার তান্না ও তার চাচা আলাউদ্দিন বাবু এবং আফসার উদ্দিন জিয়া কয়েকবার ঘাটে হামলা চালিয়েছে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় জনসর্থন এবং শ্রমিকরা পক্ষে না থাকায় তারা সফল হয়নি। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া তানভীর হায়দার তান্না বলেন, মূলত তমরদ্দি লঞ্চঘাটের ইজারাদার দুইজন। আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজলকে বিআইডব্লিউটিএ থেকে এবং বিএনপির বেলাল উদ্দিনকে জেলা পরিষদ থেকে ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। যার কারণে ঘাট পরিচালনা নিয়ে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ ও মরামারির ঘটনা ঘটে। এর সাথে আমার কোন সম্পৃক্তারা নেই। এমনকি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘাটে হামলার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। এরপরও পরিকল্পিতভাবে আমাকে এর সাথে জড়ানোর চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা থেকে পাঠানো কোন অব্যাহতিপত্র আমি এখনো পায়নি। এমনকি আমাকে কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়নি। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া এবং আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ তা আমাকে না জানিয়ে অব্যাহতি দেওয়ার ইখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে দলের ক্ষতি হবে তাই নিরব আছি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, আইন শৃঙ্খরা পরিস্থিতি দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে, কোন প্রকার দখলের সাথে আমারে দলের কারো সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে এবং অভিযোগ আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা চলমান থাকবে। এখানে কেউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে, কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও হবে না, আমরা তা খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন অপকর্ম করলে ছাড় নেই।
ঘাট দখলের উদ্দেশ্যে হামলা হামলা ভাংচুরের মামলা এবং ভাড়া নিয়ে যাত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলার বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, দুটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, লঞ্চঘাটে নতুন করে যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃস্টি না হয় সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, তমরদ্দি ঘাট সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা পরিষদের প্রতিনিধিসহ
বিরোধ সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। সভায় আলোচনায় উঠে আসে যে, বিরোধপূর্ণ তমরদ্দি ঘাট বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা পরিষদ থেকে দুইজনকে ইজরা দেওয়ায় একটি নৌযান থেকে তারা দুজনেই টোল আদায় করতে চাচ্ছেন। বর্তামানে ঘাটটি বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদারের প্রতিনিধির দখলে থাকায় এবং তা জেলা পরিষদের খাস আদায়কারীর প্রতিনিধি নিজের দখলে নেওয়া চেষ্টা করায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনিতি হচ্ছে।
সভায় বিরোধ মিমাংশায় বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার ও জেলা পরিষদের ইজারাদারের প্রতিনিধিরা একমত পোষণ না করায় তাদের উভয় পক্ষকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বা পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য অনুরোধ করে সভা শেষ করা হয়।