সালেক সুফী।।
বাংলাদেশের জ্বালানি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু ওয়াজ শুনছি। কাল শুনলাম জলে স্থলে গ্যাস অনুসন্ধান এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সময় সাপেক্ষ তাই সেই পথে হাটতে সরকার দ্বিধাগ্রস্থ.অথচ এই মানুষটি বলছেন সরকার জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতে আর কোনো ভর্তুকি দিবে না।সরকার এখন থেকে প্রতিমাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জ্বালানি বিদ্যুৎ মূল্য সমন্বয় করবে।
প্রথমত গ্যাস তেল অনুসন্ধান সবসময় সব দেশে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। তাই বাংলাদেশ সহ দেশে দেশে উৎপাদন বন্টন চুক্তির আওতায় বেসরকারি খাতের তেল কোম্পানিগুলোকে ঝুঁকি বিনিয়োগে নিয়োজিত করা হয়।বর্তমান সরকার কিন্তু ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এই সময়ে এই সরকার কিন্তু কয়লা উৎপাদনে কোনো বাস্তব উদ্যোগ নেয় নি।জলে স্থলে অনুসন্ধান সীমিত। তথাকথিত সাগর সীমানা জয়ের কোনো ফসল দেশ ঘরে তুলতে পারেনি।
প্রকৃত ঝুঁকি বিশ্লেষণ না করেই আমদানিকৃত জ্বালানির দিকে ক্রমাগত ঝুকে পড়ে এখন না পারছে কয়লা সময় মতো কিনতে না পারছে জ্বালানি তেল এবং এলএনজি কেনার ডলার সময় মত সংস্থান করতে। দেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থাকা সত্ত্বেও সরকার নিজে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের বিতর্কিত পথে হাটছে।
তার পরেও কিন্তু দেশ ব্যাপী গ্যাস সরবরাহ সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, শিল্প কারখানাগুলো গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। গ্যাস বিতরণ ব্যাবস্থায় লক্ষ লক্ষ অবৈধ সংযোগ ,বিপুল পরিমান বকেয়া এগুলো বর্তমান সরকারের জ্বালানি ব্যাবস্থাপনার জন্য সুসংবাদ নয়।সরকার কেন দুষ্টের দমন না করে গ্রাহকদের উপর মূল্য বৃদ্ধির দায় চাপাচ্ছে? আর প্রতিদিন হাস্যষ্কর কথা বলছে? সরকারের জ্বালানি ব্যাবস্থাপনা সত্যিকার অর্থে দিশাহীন হয়ে পড়েছে।