সালেক সুফী।।
তেল রপ্তানীকরক দেশগুলোর সংস্থা এবং রাশিয়া ওপেক + এক ঘোষণায় মে ২০২৩ থেকে দৈনিক ১মিলিয়ন ব্যারেল হারে তেল উৎচাহিদা পাদন কমানোর ষোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য গড়ে ৬% বেড়ে গাছে। ব্রেন্ট ক্রড মূল্য এখন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৭৭ মার্কিন ডলার এবং ডাবলু টিআই প্রতি ব্যারেল ৮০.৩৭।জ্বালানি বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন অচিরেই জ্বালানি তেলের মূল্য মার্কিন ডলার ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি তাই হয় জ্বালানি তেলের মুলা সাথে সংযুক্ত অন্যানো জীবাস্ম জ্বালানি কয়লা ,গ্যাস ,এলএনজি মূল্য এবং পেট্রোলিয়াম জাত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি পাবে। বৃত্তাকার প্রভাবে জলে ,স্থলে ,অন্তরীক্ষে যাতায়াত বায় , আমদানি ,রপ্তানি বায় বৃদ্ধি পেয়ে সম্প্রতি ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। বিশ্ব অর্থনীতি কিন্তু সবে জ্বালানি মুলা ক্রোম হ্রাসমান হতে থাকায় স্বস্তির পর্যায়ে উপনীত হচ্ছিলো। করোনার অভিঘাত এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় এমনিতেই উন্নত , উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছিলো। ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর আর্থিক মন্দার কারণে জ্বালানি চাহিদা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছিলো। সবচেয়ে বড় জ্বালানি আমদানি কারক দেশ চীন অনেক কমিয়েছিলো জ্বালানি আমদানি। আর তাই বিশবাজারে জানুয়ারী ২০২৩ থেকে কমছিল জ্বালানি মূল্য। এমতাবস্থায় জ্বালানি চাহিদা ধরে রাখার যুক্তিতেই উৎপাদন হ্রাস করেছে ওপেক+।
এদিকে চীন নিজেদের সম্পূর্ণ কোবিদ মুক্ত ঘোষণা করায় দ্রুত বাড়ছে জ্বালানি চাহিদা। এমতাবস্থায় তেল উৎপাদন এবং সরবরাহ কমে গেলে অবিশাস্য দ্রুততার সঙ্গে বাড়বে তেল ,কয়লা ,গ্যাস , এলএনজি ,এলপিজি মূল্য। বাংলাদেশ কিন্তু ২০১৯ কোবিদ অতিমারী শুরু হবার আগেই অনুন্নত দেশের সারি থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২০২৬ থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা। বিদ্যমান অবস্থায় কিন্তু প্রেক্ষাপট পাল্টে গাছে। নিজেদের কিছু ভুল কৌশল আর দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ কিন্তু অর্থনীতিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে বার্থ হয়েছে। দেশীয় জ্বালানিকে উপেক্ষা করে আমদানিকৃত কয়লা ,এলএনজির দিকে ধাবিত হয়ে বাংলাদেশ ৪৮% জ্বালানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখন পুনরায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশকে গভীর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। এর মাঝে ২০২৪ থেকেই বাংলাদেশকে দেড় হাজার কোটি দলের বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
পেট্রবাংলার সূত্রে জানা গেছে দেশের দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। নিজেদের উৎপাদন এবং স্পট মার্কেট সহ এলএনজি আমদানি নিয়ে সর্বোচ্চ ২৯০০ -৩০০০ সরবরাহ করা সম্ভব। দেশের উৎপাদন কমছে। অচিরে আমদানি বাড়ানোর সুযোগ নাই. ১০০০ এমএমসিএফডি ঘাটতির কারণে কিছু কিছু খাতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি নাজুক। এখনো গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ চাহিদা সৃষ্টি হয় নি।এমতাবস্থায় গ্যাস ,তেল ,কয়লার মূল্য বৃদ্ধি গভীর সংকটে ফেলবে বাংলাদেশকে। ডলার সংকটের সময় উচ্চ মূল্যে জ্বালানি আমদানি করা সাধ্যের সীমা অতিক্রম করবে।