ক্রীড়া প্রতিবেদকঃসালেক সুফী।।
বাংলাদেশ অঞ্চলের খেলাধুলা দেখার অভিজ্ঞতা সেই ১৯৬০ দশক থেকে। খেলেছি ,মাঠের পোকা হয়ে খেলা দেখেছি। লিখতে শুরু করেছি ১৯৭২ থেকে। ৫১ বছর ধরে বাংলায় ,ইংরেজি দুই ভাষায় লিখছি। এশিয়া ,ইউরোপ ,অস্ট্রেলিয়ায় মাঠে যেয়ে খেলা দেখছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট আতুর ঘর থেকে দেখছি। আজ যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দাঁড়িয়ে তার জন্য অনেকের নিঃস্বার্থ অবদান আমার নিজ চোখে দেখা। বিশেষ করে মাশরাফি, সাকিব ,মুশফিক ,তামিম ,মাহমুদুল্লাদের রয়েছে অসামান্য অবদান।
ইদানিং দেখি কিছু স্বল্প অভিজ্ঞ অথচ নিজেদের সর্বজ্ঞানী মনে করা ক্রিকেট অনুরাগী ওদের নিয়ে নানা কথা লিখছে। স্বীকার করি কেউ চির দিন কোনো কিছুর জন্য অপরিহার্য থাকে না. তাই বলে ক্রিকেট বীরদের অসম্মান করা হীনমন্যতার শামিল। সেটি বিসিবির কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।
আশা করি পঞ্চপান্ডবরাও অনুভব করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রিলে বাটন ছেড়ে দেয়ার উপযুক্ত সময় সমাগত। সময়টি নির্ধারণের দায়িত্ত্ব অবশ্যই নির্বাচক এবং টীম মানাজেমেন্টের। ক্রিকেট অনুরাগীরা ট্রল না করলেই বলেও। এখনো কি তামিম , মুশফিক ,মাহমুদুল্লাহ ,সাকিবের মানের ক্রিকেটার এসেছে ? ওদের মূল্যায়ন করার মতো ক্রিকেট দক্ষতা বিসিবিতেই বা কয়জনের আছে।
আশা করি সবার আত্ম উপলব্ধি আসবে। একজন মাশরাফি ,একজন সাকিব এক দিনে গড়ে উঠে নি। যখন পঞ্চ পান্ডব কেউ থাকবে না তখন কোথায় দাঁড়াবে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভেবে দেখুন।