১৫ বছরের ধারাবাহিক তিন টার্মস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে চতুর্থ বারের মোট দেশ পরিচালনার দায়িত্বে শেখ হাসিনা নেতৃত্বের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শুরুতেই কঠিন অর্থপনৈতিক সংকট আর তীব্র জ্বালানি বিদ্যুৎ সংকট চ্যালেঞ্জ সরকারের। ক্ষুদ্র দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীকে নিয়ে অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এমনিতেই বিশাল চ্যালেঞ্জ। আছে নানা প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ ,আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নানা সামাজিক বিবর্তন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এবং অনেকের মতে আগ্রাসী আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের প্রভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সংগ্রাম রত। অর্থনীতি বিন্দু থেকে বৃত্ত হওয়ার কঠিন সংগ্রামে। সামাজিক রসায়ন উন্নয়ন মুখী হয়েছে বলা যাবেনা। সর্বত্র রাজনৈতিক বিভেদ ,সমাজ সচেতনতার অভাব। তবে বলতেই হবে নানা ধরণের উন্নয়নমূলক কাজের সুফলে অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে।

তবে উন্নয়নের পরিক্রমায় নানা ধরণের অশুভ উপসর্গ যেমন সীমাহীন দুর্নীতি ,অশুভ মহলের অর্থ সম্পদ লুটপাটের ,পাচারের কারণে সামাজিক বৈষম্য প্রকট ,উন্নয়নের সুফল পৌঁছে নি সবার দুয়ার প্রান্তে। বরং অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে। জ্বালানি সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। সরকারকে ২০২৪ -২০২৮ টার্মে কিন্তু কিছু অজনপ্রিয় কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকটের লাগাম টেনে ধরতে হবে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে হবে। শোনা যাচ্ছে করোনা মহামারীর নতুন ধরণ এসেছে। নানা কার্যক্রমের মাদ্ধমে সরকার কিন্তু কোবিদ ১৯ মোকাবিলা করেছে। তবে এর প্রভাবে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট মুকাবিলায় সরকার ভুল জ্বালানি কৌশলের কারণে সফল হয়নি।প্রধান কারণ ছিল নিজেদের প্রাথমিক জ্বালানি কয়লা উত্তোলন এবং ব্যাবহারে রাজনৈতিক দোদুল্যমনটা ,গ্যাস অনুসন্ধান এবং উন্নয়নে সীমাহীন ব্যার্থতা ,বাদ বিচার না করেই আমদানিকৃত জ্বালানির দিকে ঝুকে পড়া। এবারের টার্মে কিন্তু সরকারকে নিজেদের জ্বালানি উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বৈষয়িক রাজনীতি কিন্তু বিশ্ব জ্বালানি বাজারকে অস্থির করে রেখেছে ,রাখবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ কখনো একান্ত ভাবে আমদানিকৃত জ্বালানি নির্ভর হয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারবে না। কয়লা উত্তোলন এবং ব্যবহার নিয়ে আর কোনো দ্বিধা দ্বন্দ থাকা উচিত না।যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে জলে স্থলে পেট্রোলিয়াম অনুষ্ণধন করতে হবে। জ্বালানি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জ্বালানি অদক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো জ্বালানি দক্ষ কেন্দ্র গড়ে তুলে পর্যায়ক্রমে পরিত্যক্ত করতে হবে। সঠিক পেশাদারদের সঠিক স্থানে পদায়ন করে যথাযথ প্রণোদনা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হব।

পাশাপাশি বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষত সৌর এবং বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যাবহারে প্রণোদনা দিতে হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাম্প্রতিক গ্যাস সংকট ভুল পরিকল্পনা এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধান্ত হীনতার ফসল। ভুল থেকে শিক্ষা নিলে ভবিষ্যতে এমন ঘটবে না।যেকোনো জন স্বার্থ ঘনিষ্ট কাজে সব সময় বিকল্প কিছুর সংস্থান করা জরুরি। সরকার সফল হতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। অকপটে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়. একটি এফেসারু পুনরায় চালু না করে অন্যটি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা উচিত হয়নি।সেই কারণেই সংকট হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বড় ব্যাবহারকারীদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্রিড থেকে বাখরাবাদ চট্টগ্রাম সঞ্চালন লাইন দিয়ে ১০০ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে পাঠানো যেত।

Please follow and like us:
0
fb-share-icon20
Tweet 20
Pin Share20
One thought on “কিভাবে করা উচিত গ্যাস বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Enjoy this blog? Please spread the word :)

Facebook20
YouTube20
Instagram20
20