সালেক সুফী।।
সামনেই এশিয়া কাপ। অক্টোবর নভেম্বরে বিশ্বকাপ.ভারত পাকিস্তান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কি আছে ভাগ্যে দুটি টুর্নামেন্ট দুটির সেটি ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে বাবর পাকিস্তান আযমের পাকিস্তান দুরন্ত দুর্বার। ৫ ম্যাচের ঘরোয়া সিরিজে একটু খর্ব শক্তির নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-০ এগিয়ে থাকা পাকিস্তান এখন আইসিসি রাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে। রোববার শেষ ম্যাচ জয় করলে পাকিস্তান অবস্থান দৃঢ় করবে। এইমাত্র দেখলাম চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তানের ১০২ রানের দাপুটে জয়. করাচী জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলায় টস হেরে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ৩৩৪/৬ উইকেট বিশাল ইনিংস গড়েছিল। পাকিস্তানের বহুমুখী আগ্রাসী বোলিং মোকাবিলায় কিউইজরা করতে পারে সর্বসাকুল্যে ২৩২। বর্তমান ফর্ম আর অবস্থান বিবেচনায় মনে হয় না পাকিস্তান আরো একটি হোয়াইট অর্জন ছাড়া আর কিছু হতে পারে। এই মুহূর্তে সুষম ব্যাটিং বোলিং নিয়ে পাকিস্তানকে অজেয় মনে হচ্ছে।
পাকিস্তান ১২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জয় করলো। নিউ জিল্যান্ডের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় খেলোয়াড় আইপিএলে ব্যাস্ত। কিছুটা খর্ব শক্তির। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটিং বোলিংয়ে এখন বেশ কয়েকজন বিশ্ব মানের খেলোয়াড় রয়েছে। বাবর আজম নিজে আছে তুখোড় ফর্মে। আজ ১১৭ বল খেলে নিজের ১৮ ম ওডিআই সেঞ্চুরি এবং পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ৫০০০ ওডিআই রানের মাইল ফলক অর্জন করলো। টপ অর্ডারে ফখর জামান, ইমামুল হক ,শান মাসুদ ভালো ব্যাটিং করছে।
মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান ,ইফতিখার , শাদাব , হ্যারিস মারকুটে ব্যাটিং করে। পাকিস্তান নিয়মিত ৩০০ + রান করছে। আর এই মাত্রার স্কোর ডিফেন্ড করার জন্য পাকিস্তানের রয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম , হারিস রউফ , ওয়াসিম দুরন্ত পেস আক্রমণ। শাদাব খানের পাশাপাশি উসামা মীর নামের এখন নবীন লেগ স্পিনার পেয়েছে পাকিস্তান। আমার মনে হয় এই দল নিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপ এবং বিশ্ব কাপ জয়ের আশা করতেই পারে। আমরা বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখছি তারা পাকিস্তানের খেলাগুলোর ভিডিও ক্লিপিং দেখে পরিকল্পনা করতে পারেন।
আশা করি ভারত পাকিস্তান রাজনৈতিক দ্বন্দে এশিয়া কাপ ভেস্তে যাবে না. বরং নিয়মিত ক্রিকেট সফর বিনিময় হলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গোলে যাবে।