সালেক সুফী।।
আজ বাদে কাল নিজেদের দুর্গম দুর্গ শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অবতীর্ণ হবে।কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলার জন্য মুখিয়ে থাকা সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসকে অন্তর্ভুক্ত করে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। স্মরণীয় যে আফগানিস্তান সহ টেস্ট খেলুড়ে সকল দেশের সঙ্গেই নিজেদের প্রথম টেস্ট হারের অতীত ইতিহাস স্মরণে রেখে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেই বিসিবি। লজ্জার এই রেকর্ড বাংলাদেশ সম্প্রসারিত করতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক।
২০০০ অভিষেকের পর ২৩ বছরে ১৩২ টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ১০২ টি ,জয় ১৬ এবং অমীমাংসিত থেকেছে ১৮ টি. সর্বোচ্চ ৮ টি জিতেছে জিম্বাবোয়েরে বিরুদ্ধে , ৪ টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১ টি করে অস্ট্রেলিয়া ,ইংল্যান্ড ,নিউজিলণ্ড এবং শ্রীলংকার বিরুদ্ধে। টেস্ট ক্রিকেটে নবাগত আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাল থেকে শুরু হওয়া ম্যাচটি হবে প্রথম। বাংলাদেশ টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পাকিস্তান , ভারতের সাথে জয় পায় নি. আর জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফঘানিস্থানের সঙ্গে।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (সহ অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান।
আয়ারল্যান্ড: এন্ডি বালবিরনি ( অধিনায়ক) , পিটার মোর , জর্জ ডকরেল, লড়কান টাকার , মার্ক আদায়ের , এন্ডি ম্যাকব্রিন , ব্যারি ম্যাকার্থি , কার্টিস ক্যামফার , হ্যারি টেক্টর ,মারে কামিন্স ,ফিওণ হ্যান্ড, গ্রাহাম হুম, ম্যাথিউ হামফ্রে এবং বেন হোয়াইট।
২০১৮ টেস্ট অভিষেকের পর আয়ারল্যান্ড পাকিস্তান , ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩টি টেস্ট খেলে সবগুলো হেরেছে।
বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড দল দুটির বর্তমান শক্তিমত্তা , ভারসাম্য এবং সামপ্রতিক ফর্ম বিবেচনায় স্বাগতিকরা যোজন যোজন এগিয়ে। তামিম ,মুশফিক ,মোমিনুল ,তাইজুল প্রত্যেকে যত ম্যাচ খেলেছে আয়ারল্যান্ড কেন বর্তমানে সক্রিয় কোনো টেস্ট দলেই এতো ম্যাচ খেলোয়াড়ের সংখ্যা হাতে গোনা। তদুপরি বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের অভয় অরণ্য মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আগেই বলেছি পঞ্চ পাণ্ডবের তিন স্তম্ভ তামিম ,সাকিব ,মুশফিক দলের প্রাণ ভোমরা। সঙ্গে আছে তুখোড় ফর্মে থাকা লিটন দাস, নাজমুল শান্ত ,টেস্ট বিশেষজ্ঞ মোমিনুল হক. সম্প্রতি স্থানীয় ক্রিকেটে আগুনে ফর্মে আছে সাদমান ইসলাম , আইরিশ আক্রমণ এমন কোনো দুধর্ষ মনে হয়নি সাদা বলে বাংলাদেশ এই আক্রমণে ৪০০-৪৫০ রান করতে পারবে না নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেললে।
আর যদি বোলিং আক্রমণ বলেন উইকেটে পেস ,বাউন্স থাকুক বা টার্নিং ট্র্যাক হোক বাংলাদেশ আক্রমণে সফরকারীরা কঠিন চ্যালেঞ্জ পড়বে। দেখতে হবে বাংলাদেশ ৩ পেসার , তিন স্পিনার নিয়ে খেলার কৌশল নিবে কিনা।
বাংলাদেশের কয়েকজন ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য শুনে এবং আমার দেখা বাংলাদেশ ভারত সাম্প্রতিক টেস্ট থেকে মনে হয়েছে বাংলাদেশের আদর্শ টীম হবে।
তামিম, সাদমান , শান্ত, মোমিনুল, মুশফিক , সাকিব , লিটন , মিরাজ, তাইজুল ,তাসকিন এবং এবাদত। যদি উইকেট সত্যিকারের স্পোর্টিং হয় তাহলে একজন ব্যাটসম্যান কম খেলিয়ে হাসান মাহমুদ অথবা খালেদকে দলভুক্ত করা যেতে পারে।
আমি স্বাভাবিক অবস্থায় খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের হয়ে খেলা সমর্থন করি. তবে পরিস্থিতি এবং প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে আমি সাকিব তামিমকে আইপিএল খেলতে পাঠানো সুবিবেচনা প্রসূত মনে করেছিলাম।
আমি আবারো বলছি এই টেস্ট বাংলাদেশ সহজে জিতে না নিলে বিস্মিত হবো যদিও ক্রিকেটে নিশ্চিত করে কিছু বলে অনেক সময় বোকা বনতে হয়।