আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
পাকিস্তানে ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। গত ৯ মে আদালত প্রাঙ্গন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করে পিটিআই নেতাকর্মীরা। একজন সেনা কমান্ডারের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার পর ইমরান খানের দলের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে সরকার। পুলিশ অন্তত ১৫ হাজার পিটিআই নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ইমরান খানের দল ছেড়েছেন অন্তত ৯০ জন সিনিয়র নেতা।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী বড় ভূমিকা পালন করে। ইমরান খানের দলের ওপর মূলত সেনাবাহিনীর নির্দেশেই দমন-পীড়ন চলছে। এই অবস্থায় গত সপ্তাহে ইমরান খান আলোচনায় বসার কথা বলেন। ইতোমধ্যে আলোচনায় বসতে তিনি দলের তিনজন সিনিয়র নেতার সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন।
শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথমে ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এখন অবশ্য তার দলের মন্ত্রীরা বলছেন, ইমরান খান যদি সত্যিকারের আলোচনা চান, যদি তিনি শাহবাজ শরিফকে অনুরোধ জানান, তাহলে তারা ভেবে দেখবেন।
ইমরান খানের দল সরকারের এমন প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে। পিটিআইয়ের বক্তব্য, ক্ষমতাসীন সরকার মূলত পুতুল সরকার। তাদের কোনো ক্ষমতা নেই, জনসমর্থন নেই। সুতরাং, আলোচনায় বসতে হলে প্রকৃত সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের সঙ্গে বসবেন তারা।
পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার শুক্রবার বলেছেন, তার দল প্রকৃত সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এক টুইটা বার্তায় পিটিআইয়ের এই নেতা বলেন, ‘পুতুলদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সময় নষ্ট করতে চায় না। এসব লোকদের পাকিস্তানে কোনো জনসমর্থন নেই। গণতন্ত্র ও সংবিধান পুনর্বহালের স্বার্থে আমরা প্রকৃত সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছি। সূত্র: ডন