পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হলো ” মা””।। স্যার নেপোলিয়ন বেনোপোর্ট বলেছিলেন –GIVE ME A GOOD MOTHER, I Will GIVE U A GOOD NATION… আর আমাদের নবীজি বলেছেন যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য মা আর শান্তনা পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য তার বাবা।।আমার মায়ের অন্ধের যষ্টি ছিলাম আমি।।। আম্মার সাথে প্রতি মাসে সংরাইশে ছোট ফুফুর বাসায় বেড়াতে যেতাম।। নাস্তা তো দেওয়ায় স্বাভাবিক। ১০০% শিওর আনি যদি নাস্তা নাও দিতো আম্মা কখনও সমালোচনা করতোনা৷ আম্মার স্কুলের যতো শিক্ষিকা সবার বাসায় আমাকে নিয়ে যেতো,শুধু তাই নয় এলাকায় আব্বার কলিগ এর বউ ও এলাকার মুরব্বিদের বাসায় আমাকে নিয়ে যেতেন।।আরো আশ্চর্য হলেও সত্যি নারী উদ্যেক্তা কিন্তু একটু দুর্বল তাদের বাসায় ও আমাকে নিয়ে যেতেন।।ডাকাতের কিনা কাটা আমি যেতাম।ঈদের কিনা কাটা আমি যেতাম। যে কোনো কিনা কাটা আমি যেতাম।। আম্মা ছিলেন শৈল রানী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা,,চাইলেই প্রধান শিক্ষক হতে পারতেন।।কিন্তু লোভ কখনও করেননি।।বাসায় কতো ছুটা বুযা যে কাজ করতো,আর আম্মা গোপনে দান করতেন, একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ই ভালো জানেন।। আব্বা মাঝে মাঝে বকাঝকা করতেন।আম্মা কোনো প্রতিবাদ করতেননা।।বশির মোল্লা হুজুর কে মাঝে মাঝে বাসায় ডেকে এনে দোয়া পড়াতেন,খাবার খেতে দিতেন।। আত্মীয়ের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে দান বা উপহার করতেন তার একমাত্র স্বাক্ষী আমি।।পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন, মন সকলি দাও,তার মতো সুখ কোথাও কি আছে আপনার কথা ভুলিয়া যাও???? আম্মা আব্বার কলিগদের বউ এর বাসায়,এলাকায় মুরব্বিদের বাসায় বেড়াতে যেতেন।আমাকে নিয়ে।।নারী উদ্যেক্তাদের বাসায় আমাকে নিয়ে বেড়াতে যেতেন।বড়ো পীর আবদুর কাদের জিলানী মায়ের পেটে থাকতে ১১ পারা পবিত্র কুরআন মজিদ মুখস্থ ছিলো শোনা কথা কিন্তু ওনার মা হয়তোবা অনেক বেশি পবিত্র কুরআন মজিদ তেলওয়াত করতেন।।বায়েজিদ বোস্তমী আল্লাহ তায়ালা র ওলিভ হয়ে গেলেন শুধু মাত্র মায়ের সেবা ও দোয়ার কারনে।।আমি Honestly বলতেছি ডাক্তার হতে হলে যে যোগ্যতা লাগে,, যে পড়াশোনা করতে হয়,,তার কোনো যোগ্যতাই আমার ছিলনা শুধু মাত্র আমার আম্মার দোয়াতে আমি আজ চোখের ডাক্তার। কেননা আম্মা দোয়া করেছিলেন আমি যেনো চোখের ডাক্তার হই।।আম্মা যদি দোয়া করতো আমি মন্ত্রী বা এম,পি হওয়ার ১০০% শিওর আমি হতাম।।স্কুল লাইফে পঞ্চম শ্রেনী ভর্তি যুদ্ধে আম্মা আমাকে জিলা সকুল এ-র নামকরা শিক্ষক শফিউদ্দিন স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়িয়েছিলেন ও দোয়া করেছিলেন আমি যেনো চোখের ডাক্তার হই।।আম্মা যদি দোয়া করতো আমি মন্ত্রী বা এম,পি হওয়ার ১০০% শিওর আমি হতাম।।স্কুল লাইফে পঞ্চম শ্রেনী ভর্তি যুদ্ধে আম্মা আমাকে জিলা সকুল এ-র নামকরা শিক্ষক শফিউদ্দিন স্যারের বাসায় পড়াতে নিয়ে যান।এস,এস,সি পরীক্ষার আগে হাবিবুল্লাহ্ স্যারের বাসায় নিয়ে যান।ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার আগে physics tutorial Sir এর বাসায় নিয়ে যান না হলে ১০০% ফেল নিশ্চিত। মেডিক্যাল কলেজ এ থাকতেও জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ হোক স্যারের বাসায়,শিশু বিশেষজ্ঞ নিলুফা ম্যাডামের বাসায় নিয়ে যান।।আম্মার দোয়ার কারনে আজ আমি চোখ এর ডাক্তার। কেননা পড়াশোনায় আমি ছিলাম ১০০ ফাঁকিবাজ।। শুধুমাত্র আম্মার দোয়াতে আমি চোখের ডাক্তার, ইশ আম্মা যদি দোয়া করতো মন্ত্রী বা এম,পি হওয়ার জন্য,, ১০০% হতাম।।কিন্তু সেই সুযোগটা হারিয়ে গেলো।। আজ আম্মা নেই।। আম্মার স্মৃতি বহন করে চলছি।।পবিত্র কোরআন মজিদ এ সুস্পষ্ট ভাবে আল্লাহ তায়ালা হুশিয়ার করে বলে দিয়েছেন যে মায়ের সাথে ওহ্ টাইপ এর বিরক্তিকর আচরণ করা নিষেধ। করলে জাহান্নামী।।আমি তো নিজের অজান্তেই ইচ্ছাকৃত,অনিচছাকৃত বেয়াদবী করে থাকতেই পারি।।এখন তো মাফ চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।। আল্লাহ তায়ালা আপনার কাছে হাতজোড় করে বিনীতভাবে মাফ চাই আমার মা- বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে দেন আর আমাকে মাফ করে দেন।যারা বাবা-মা র কাছ থেকে মাফ আদায় করতে পারলোনা তাদের মতো পোড়া কপাল দ্বিতীয় আর কেউ নেই।। এর মধ্যে কি আমি পড়ি????????মেডিকেল এ পড়াশোনা কালীন সময়ে পড়ার চাপে আম্মা র কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করতাম।আম্মা দোয়া পড়ে ফু দিতো আর সাহস দিতো।।এর চেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এর আর কি করার আছে??? উদারতা, দানশীলতা এগুলো তো আম্মার কাছ থেকে পরোক্ষভাবে অনুপ্রেরণা ও শিখেছি। লোভ না করা।।শত্রু ও বন্ধু সবার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক এটাও আম্মার কাছ থেকে শিক্ষা।। মেডিকেলে সিগারেট খাওয়া আম্মা সবসময়ই ধরে ফেলতেন অনেক বকাবকি করতেন,, সেই আমি ধুমপান মুক্ত জীবন যাপন করছি কিন্তু আম্মা আজ নেই কাকে এ-ই আনন্দের খবটটা জানাবো???? আমার মেয়েকে আম্মা এতো বেশি কড়া নজরে রাখতেন,,যে আম্মার মৃত্যুর পর পুরো বাসার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়,,আমি ও বাসার অবস্থা একেবারে অন্ধকারে পড়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা তার কুদরতি খাজানা থেকে রহমতের চাদরে আমাকে ও পরিবার কে মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনে এনে দাঠ করিয়েছেন।।কথাটা কেউ অন্য ভাবে নিবেননা বিদেশে প্রবাসী বা ঐ দেশের মায়েরা আমাদের দেশের তুলনায় ১০০ গুন বেশি শিক্ষিত,,আর আমাদের দেশে বেশির অশিক্ষিত মস।আর শিক্ষিত মায়েরাও কি সবসময়ই সন্তানকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পারেন???? উত্তর অবশ্যই না আর এ-ই কারণে আমাদের দেশে GOOD NATION আশা করে গুড়ে বালি আর অরন্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই না।।আমার মায়ের কতো যে গুণ ছিল বলে শেষ করা আমার পক্ষে অসম্ভব শুধু মাত্র কিছু স্মৃতিচারন করা।।রোজার মাসে একবার পবিত্র কুরআন মজিদ খতম দেওয়া বাধ্যতামুলক।শবেবরাত এ পুরো কুমিল্লা শহরে আম্মার পরিচিত যতো আত্মীয় ঘুরে ঘুরে তাদের বাসায় হালুয়া দিতাম এ-ই অধম বান্দা।।। যেহেতু আম্মা একজন শিক্ষক ছিলেন সুতরাং নিসন্দেহে ওনার knowledge ছিলো সাধারণ মানুষ এর চেয়ে একটু বেশি।। মেডিকেল কলেজ এ পড়াশোনা কালীন আমার বাসা ছিলো ছেলে ও মেয়ে র অবাধ বিচরণ।। আম্মা আপ্যায়নে কোনো কৃপণতা ছিলোনা।।আম্মার অনেক কিছু পরোক্ষভাবে অনুপ্রেরণা ও শিখেছি। আম্মার, Irritable Bowel syndrome, DM, ADHD,,Neuropathy,,,,,,, GLAUCOMA সহ অনেক কিছুই Genetically পেয়েছি।। তারপরও কোটি কোটি কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি আমার শ্রেষঠ শিক্ষক মায়ের কাছ থেকে অনেক ভালো কিছু শিখতে পেরেছি।।। আম্মা I m extremely GRATEFUL to U…মহান রব্বুল আলামীন এ-ই খবর টা মাকে জানিয়ে দিয়েন।।।মায়ের সাথে কোনো বেয়াদবী করলে হাতজোড় করে বিনীতভাবে মাফ চাই আপনি মাফ করে দিবেন এ-ই আশাবাদী।
সুত্র — ডাক্তার এ,কে,এম,কামরুল আহসান ( তানিম). কনসালটেন্ট — কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতাল।,আলেখারচর