একটি এক বছরের বাচ্চা গরীব পরিবার এর আমার বাসার চেম্বারে কয়েক দিন আগে আসলো।চোখ দেখতে যাবো,এ-ই সময় বাচ্চা পায়খানা করে দিলো।বললাম পাশেই বাথরুম আছে। পরিষ্কার করে আবার দেখান।।আবার পরিষ্কার করে আসলো,দেখলাম চোখ অনেক ফুলা।সাধারণ মানুষরা ভয় পাওয়ার কথা কিন্তু তারা গরীব ও অসচেতন বলে দেরী করে আসলো।যা-ই হোক ভালো করে দেখে বুঝতে পারলাম এইডস/ সিফিলিস/ গনোরিয়া এধরণের জীবাণুর আক্রমণে চোখের ইনফেকশন ও চোখে একটা সাদা পর্দা পড়েছে।পর্দাটা পরিষ্কার করে দিলাম।।পরামর্শ ফি দিতে চাইলোনা।।আমিও গরীব পরিবার এর কারো কাছ থেকে পরামর্শ ফি নেইনা।আবার কেউ সামর্থ্য আছে কিন্তু দিতে চায়না।।।জোরাজুরি করিনা।।সেবাই আমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।। রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং ফ্রী সেবা দিতে কার্পণ্য করিনা।।যে-ই বাচ্চাটাকে চোখের ময়লা পর্দা পরিষ্কার করে দিলাম। পরের দুই দিন আবারও আসতে বাধ্য হলো।।ফ্রী চিকিৎসা নিলে কেউ সহজে ভালো হয়না।এটাও আল্লাহ তায়ালার হুকুম।। পরের দুই বারও পরামর্শ ফি নেয়নি শুধু ময়লা পর্দা ওয়াশ বাবদ আমার সহকারী ১০০ টাকা নিয়েছে।আমি কিছুই নেয়নি। আমি ১০০% বিশ্বাস করি।এ-ই ফ্রী সেবার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ভালো কিছু দিবেন।

সুত্র — ডাক্তার এ,কে,এম,কামরুল আহসান ( তানিম). কনসালটেন্ট — কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতাল,আলেখারচর।