সালেক সুফী।।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-০ ওডিআই সিরিজ আর টি ২০ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দাপুটে জয়ের পর টি ২০ ম্যাচটিতে শোচনীয় পরাজয়ে প্রমাণিত হলো বাংলাদেশ ভালো দল হলেও সেরা দল হয়ে উঠেনি। ১৯৭০ , ১৯৮০ দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ১৯৯০ ,২০০০ অস্ট্রেলিয়া কখনোই একই অবস্থায় প্রতিপক্ষ দলকে কোনঠাসা অবস্থান থেকে ফিরে আসার সুযোগ দিত না।আক্রমনাত্বক ক্রিকেট খেলায় দোষের কিছু নেই যদি সেটি পরিস্থিতি মাফিক উপযোগী হয়। সেরা দলগুলোর বিকল্প পরিকল্পনা থাকে। যখন মূল পরিকল্পনা প্রতিপক্ষ দল প্রতিরোধ করে তখন বিচক্ষণ দল বিকল্প পরিকল্পনা অবলম্বন করে।আর কেউ নাহোক সাকিব জানে। প্রথম তিন চারটি উইকেট পরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কৌশল পরিবর্তন জরুরি ছিল।
শামীম যখন একপ্রান্তে উইকেট আগলে ছিল অন্নপ্রান্তে কেউ ওকে যোগ্য সাহচর্য দিতে পারলে বাংলাদেশ ১৪০-১৫০ করতে পারতো। তাহলে কিন্তু ম্যাচ পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারতো। ক্রমাগত আক্রমণাত্মক খেলে ম্যাচ জয় করার মতো পরিণত খেলোয়াড় বাংলাদেশে এখন কম।এখানেই বাংলাদেশ মুশফিক ,রিয়াদকে মিস করেছে। টেস্ট ম্যাচের আগে অতিথি দলের ঘুরে দাঁড়ানো ওদের জন্য অক্সিজেন হিসাবে কাজ করবে।
সুক্ষভাবে খেলার ভিডিও ক্লিপ দেখে মনে হয়েছে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশ দলের শক্তি দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে উইকেট তো উইকেট ফুল লেংথ বোলিং করেছে। আর একটি ঢঙে খেলার জন্য নির্দেশিত বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা সাজানো ফাঁদে পা দিয়েছে। ৭ জন ব্যাটসম্যান মিড্ উইকেটে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছে। একটি দল পর পর দুই খেলায় দুই শতাধিক রান করলো আর তারাই একই দলের বিরুদ্ধে ব্যাটিং উইকেটে ১২৪ রানে গুটিয়ে গেলো। নিঃসন্দেহে কৌশলের ভুল, পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার পরিণতি বোধের অভাব।
আমি সাকিব লিটনদের আইপিএল খেলা নিয়ে মিডিয়ায় ক্রমাগত আলোচনা , বিসিবি কর্মকর্তাদের অসহিষ্ণুতাকে কিছুটা দায়ী করবো। স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যমান পরিস্তিতি তৃতীয় ম্যাচে সাকিব ,লিটন এবং সেই সঙ্গে দলের মনোযোগে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে। মুস্তাফিজ চলে গাছে। সাকিব ,লিটনকে টেস্ট দলে নেয়া হয়েছে। আশা করি দেশের স্বার্থে ওরা সেরাটি দিয়ে খেলবে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড থেকে অনেক পরিণত এবং এগিয়ে। তামিম ,মুশফিক ,তাইজুল, এবাদত থাকবে। বাংলাদেশ সহজে টেস্ট জয়ী না হলে বিস্মিত হবো।