সালেক সুফী।।
জনমনে প্রশ্ন দেশের বর্তমান জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি দলের পোড় খাওয়া ঝানু প্রবীণ রাজনীতিবিদরা নিষ্ক্রিয় কেন? তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ,মতিয়া চৌধুরীর কোনো ভূমিকা নাই কেন? ক্রমাগত তিন টার্মে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন আছে অনেক। কিন্তু কিছু কিছু অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে জনমনে বিক্ষোভ আছে. জনগণ মুক্ত পরিবেশে নিরপেক্ষভাবে ভোট দানের সুযোগ পেলে ক্ষেত্র বিশেষে জন বিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনে নিরুঙ্কুশ জয়ে শংকা আছে. জনগণের সামনে বিকল্প না থাকলেও সরকারি দল বিপদে পড়তেও পারে।
আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে ময়দানে সক্রিয় অনেকের ভূমিকা প্রশ্ন বিদ্ধ। সরকারের দেশ শাসন নানা বিষয়ে দেশে বিদেশে অনেক প্রচার অপপ্রচার আছে. মূল ধারার রাজনীতিবিদদের আড়ালে রেখে ব্যাবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া সুবিধাবাদী কিছু মানুষ সরকার প্রধানকে বিদ্যমান অবস্থায় খুব একটা কার্যকরী সহায়তা দিতে পারবে বলে মনে হয় না। সরকার কিন্তু নিজের পরিকল্পনা মোতাবেক আগামীর নির্বাচন করতে পারবে ন। ২০১৮ এবং ২০২৩ বিশ্ব পরিস্থিতি কিন্তু অনেক ব্যাবধান।
মাঠে ময়দানে প্রতিনিয়ত সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বার্থের সংঘাত দৃশ্যমান। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে এটি প্রকট হবে. অনেক সুবিধাবাদী মহল এখন থেকেই কেটে পড়ার সুযোগ খুঁজছে। প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত করে এতদিন যে আমলাদের সরকার সামনে এনেছে তারাও এখন বিপরীত মুখী। হয়তো সরকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাদ্ধমে মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি বিষয়ে অবগত। তৃণমূলে কোনঠাসা মানুষগুলোর মতামত প্রধান্য দিয়ে সরকার প্রধান মনোনয়ন না দিলে সরকারি দলের ভরাডুবি হতে পারে। পুলিশ আর প্রসাশন সঙ্গত কারণেই নিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে।
আমি মনে করি ২০২৪-২০২৮ বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময়। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট , জ্বালানি সংকট বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিশাল চ্যালেঞ্জ ফেলবে। দেশে দক্ষ , দেশপ্রেমিক জন ঘনিষ্ট সরকার না থাকলে সকল উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে। আমি দেশের স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠীকে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।
Bethesda, MD National Institute on Drug Abuse, National Institutes of Health; 1999 priligy