সালেক সুফী।।
ম্যাচের শেষ ওভার। জেতার জন্য প্রয়োজন ৬ বলে ৬ রান। হাতে ৫ উইকেট। উইকেটে তাওহীদ হৃদয় আর মেহেদী মিরাজ। প্রথম বলেই কভার দিয়ে মিরাজের বাউন্ডারি। ব্যাবধান কমে ৫ বলে দুই রান. করিম জান্নাতের ২,৩ ,৪ বলে একে একে মিরাজ , তাসকিন , নাসুম আত্মাহুতি দিলে জান্নাত অর্জন করলো হ্যাট্রিক। তাহলে কি তীরে এসে তরী ডুববে আবারো বাংলাদেশের? পঞ্চম বলটিকে সীমানা পার করে ২ উইকেট ব্যাবধানে ম্যাচ জেতালো শরিফুল।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটলো বাংলাদেশের। তুখোড় আফগানিস্তানকে দুই ম্যাচের টি ২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেই হারালো এই ফরম্যাটে ক্রম বিকাশের পথে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৫৪/৭ করেছিল অতিথি দল। বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে ১৫৭/৮। ২ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলো। বাংলাদেশে এখন বর্ষাকাল।
সিলেট সহ সারা দেশে বর্ষা এখন তুঙ্গে। এই সময়ে ক্রিকেট কিছু দিন আগে ভাবাই যেত না. এখন ক্রিকেট হয় বছর জুড়ে। আর ডাকওয়ার্থ লুইসরা ফর্মুলা বাতলে দিয়েছেন। যাহোক কাল বৃষ্টি ভয় থাকলেও ম্যাচটি কিন্তু পূর্ণ ব্যাপ্তির হয়েছে। টস জয় করে সঙ্গত কারণেই ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাকিব।
আটো ষাট লেংথ আর সঠিক নিশানা বজায় রেখে বাংলাদেশ বোলাররা আফগানিস্তানের মারকুটে টপ অর্ডার রামানুল্লাহ গুরবাজ, হাজরাতুল্লাহ জাজাই এবং ইব্রাহিম জাদরানকে উইকেটে স্থিতু হতে দেয় নি. ৪/৫২ অবস্থান থেকে দলকে বর্ষীয়ান অল রাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ( ৫৪) প্রথমে নাজবুল্লাহ জাদরান (২৩) এবং তারপর আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে (৩৩) সঙ্গী করে দলকে স্বস্তিদায়ক ১৫৪/৭ অবস্থানে নিয়ে যায়জবাবে।
খেলতে নিবে রনি তালুকদার (৪) , নাজমুল হোসেইন শান্ত ( ১৪) , লিটন কুমার দাস (১৮) , সাকিব আল হাসান (১৯) কেউ উইকেটে স্থিতু হতে পারেনি। ৪/৬৪ অবস্থানে উইকেটে জুটি বাধে তরুণ জুটি তাওহিদ হৃদয় এবং শামীম হোসেইন। নির্ভিক এই জুটি ৫ম উইকেটে ৭৩ রান যোগ করার ৩৩ রান করে ফিরে যায় শামীম।
অন্যদিকে হৃদয় ভালো খেলতে থেকে মেহেদী মিরাজকে নিয়ে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি আসার পর ঘটে শেষ ওভারের নাটক। যাহোক জয় মুক্ষ। আফগানিস্তানের এই দলটি টি ২০ ফরম্যাটে কঠিন দল। ওদের সাথে ভালো খেলে জয় অর্জন। বিশেষত বাংলাদেশ যখন এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তামিম ,মুশফিক ,মাহমুদুল্লাহ ছাড়া নতুনদের নিয়ে খেলছে।