নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

তায়েফ শহরের উচ্চতা ৬০০০ ফুট ওপরে সেখান থেকে তোলস,ছবি। কেবল কার তারের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে,যায়।তায়েফ এলাকায় পাহাড়ের ওপর সবুজ রঙের গাছ কেয়ামত এর আলামত।তায়েফ এলাকায় সবজী ও ফলের আড়ত দেখলেই মাথা নষ্ট হয়ে যাবার কথা। ইতিহাস বলে শোনা কথা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করেছি লেন যেনো আল্লাহ তায়ালা ওনার সন্তান ও,পরিবারের খাদ্যের ব্যবস্হা করেন।আল্লাহ তা আলা র হুকুমে হযরত জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে,মক্কা শরীফে সাতটা ঝঠে,ঝড়ে র মতো চক্কর দিতে দিতে তায়েফ এলাকায় সবজী ও ফলের বাগান দান করে যান। সেই থেকে আজীবন এমন কোনো ফল বা সবজী নেই যে ঐখানে নেই।
আল্লাহু আকবর।হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু ওনি এই মসজিদে নামাজ আদায় করা সহ দাওয়াত দিতে ন।আমাদের নবীজি র চাচা হজরত আব্বা স রাদিআল্লাহু আনহু ওনি প্রথম দিকে নবীজী র বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে পরে আল্লাহ তায়ালা র রহমতে ফিরে আসেন ইসলাম পরিপূর্ণ দ্বীন পালন করে ন।মানে আল্লাহ তায়ালা র একত্ব বাদ ও হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আল্লাহ তায়ালা র রাসুল মেনে নেন।
আমাদের নবীজি এ-ই মসজিদ এ নামাজ আদায় করা সহ দাওয়াত দিতে ন।বড়ো হজ্ব এ-র অভিজ্ঞতা -নাম অপ্রকাশ এ অনিচ্ছুক এক হাজী।বড়ো হজ্জ করার মাধ্যমে এক জন হাজীকে ফুলের মতো নিষ্পাপ ধার্মিক বানিয়ে দেয় আল্লাহ তায়ালা। কারণ টা,আমাদের সবারই অজানা।কারনটা,হলো,৭িই জিলহজ্জ থেকে শুরু করে ১২ ই জিলহজ অবধি কঠিন পরিশ্রম করতে হয় সকল হাজীর, যা বলে বুঝতে পারবেনা।যে বড়ো হজ্ব করে সেই বুঝতে পারে।আরাফাত ময়দানে কান্নাকাটি, মিনার তাবু তে কান্নাকাটি সহ মুযদালিফা তে রাস্তায় ঘুমানো সহ ফরজ তাওয়াফ, শয়তানকে পাথর মারা সব মিলিয়ে বিশাল বড়ো ধরনের পরিশ্রম।
তাওয়াফ ও সায়ী করা সহ ওমরাহ করতে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে ঠিক ফরজ তাওয়াফ ও সায়ী করতে একই সময় লাগে। বাকী ১ মাস তাওয়াফ সহ ক্বাবা শরীফে নামাজ আদায় করা র প্রতি যোগীতা চলে।এতো কিছু, এতো পরিশ্রম করার পরও কি আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেননা????মোয়াল্লেম গাইড এ বিশৃঙ্খলার জন্য হাজীদের দলছুট হয়ে যাওয়া টা খুব বেশি আমি পরিলক্ষিত করেছি।আমি নিজেও একেবারে একা হয়ে বেশ ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ওমরাহ করতে পারায় তিন বা চার বা পাঁচ মাস আগে।ভয় কাটি য়ে হোটেলে ফিরে এসেছিলাম। কোনো হাজী হারায় না।
আল্লাহ তাআলা র মেহমান হিসাবে ফিরে আসেন তার জায়গায় যে কলো,,কোনো ওছিলায়।তাওয়াফ করা আল্লাহ তায়ালা র অশেষ রহমতে হয়।ছোট ১/২/৩/৪/৫ বছরের বাচ্চা কে নিয়ে তাওয়াফ করে বাবা-মা বা ভাই /বোন।৮০+ বৃদ্ধ কে নিয়ে তাওয়াফ করে ছেলে,বা,মেয়ে,বা নাতী/নাতনী।স্বামী স্ত্রী কে উইল চেয়ার বসিয়ে তাওয়াফ করছে।পা নেই এমন প্রতি বন্ধীও,তাওয়াফ করে।
অন্ধত্ব নিয়ে একা তাওয়াফ করছে। কিভাবে সম্ভব????অন্ধ মানুষ ও কোনো সহায়তা ছাড়া ই তাওয়াফ করছে।কঠিন একটা ইবাদত। সুতরাং সব হাজী কে আল্লাহ তায়ালা কবুল করবে ও মাফ করে দিবে এ-ই আশা আমরা করতেই পারি। কিন্তু হাজীদের উল্টো পাল্টা কাজে এক হাজী আরেক হাজী চরম বিরক্ত হয়।এটা আসলে যাঁরা বিরক্তি সৃষ্টি করেছে তাঁরা করেনা।বুঝতে পারলে করতোনা।যেমন- আপনি অন্য হাজীদের কাছ থেকে শুধু খাবেন কিন্তু কোনোদিন ই খাওয়াবেননা।এটা কেমন???এক হাজী তার অসুস্থতার জন্য ঔষধ কিনে খাচ্ছেন,আরেক হাজী সাহেব যদি ওনার ঔষধটাই দিবার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।
এটা ছেটো বাচচাদের মতো বাচচামি ছাড়া আর কি???এক হাজী আরেক হাজী কে সমানে গীবত করাসহ তার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে .. এগুলো এই হজ্জ কালীন সময়ে করলে,বাংলাদেশে গিয়ে আরও অনেক বেশি করবেন।তাহলে হাজী হয়ে কি লাভ?? গুনাহ মাফ হলো কিন্তু আবার নতুন করে পাপ কাজে নিমজ্জিত হলে এটার কি সমাধান????ধুমপান,পান খাওয়া ছাড়া হলোনা।
কি লাভ হলো???মিথ্যা বলা ছাড়তে না পারলে হাজী সাহেব এর দাম কি আর থাকে?????মোয়াল্লেম সাহেব রা আরো বেশি হাজী সাহেবদের জন্য আন্তরিক হতে হবে।নতুবা হাজী ও মোয়াল্লেম এর মাঝে বিরাট দুরত্ব তৈরি হচ্ছে ও হবে।আমি টেক্সি ভাড়া ৩০ রিয়াল এর জায়গায় ৫০০ রিয়াল দিয়েছি।১০০% নিজের বোকামি। কিন্তু মোয়াল্লেম এর গাইডও সুনির্দিষ্ট কিছু ছিলো না ঝাল -টকমিষ্টি সফর নিয়ে ই বড়ো হজ্ব এ-র সফর ৪৫ দিনের।ভালো থাকুক সকল হাজী।ভালো থাকুক বাংলাদেশের সবাই।।
মক্কা শরীফেই হজ্ব মদিনা শরীফে কবর জিয়ারত ছাড়া আর কিছুই না।।কিন্তু ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সহ রিয়াদুল জান্নাতে নামাজ সহ জিয়ারত টা কতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ কে কাকে বুঝাবে???? আল্লাহ তায়ালা সকল হাজীর আশা পূরণ করুক এ-ই দোয়া।আর আগামী তে যাঁরা হজ্জ করবেন।আমার সাথে বাংলাদেশে যোগাযোগ করবেন।ইনশাআল্লাহ অনেক বেশি উপকৃত হবেন ও কষ্ট কম হবে।.

Please follow and like us:
0
fb-share-icon20
Tweet 20
Pin Share20

By

463 thoughts on “বড়ো হজ্ব এ-র অভিজ্ঞতা নিয়ে”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Enjoy this blog? Please spread the word :)

Facebook20
YouTube20
Instagram20
20