সালেক সুফী।।
বাখরাবাদ -চট্টগ্রাম সঞ্চালন পাইপ লাইন এবং চট্টগ্রাম রিং মেইন অনষ্ট্রীম পিগ্গিং :
আগের পর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সংকট ময় পরিস্থিতিতে কাজটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। বাখরাবাদ এবং ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন বিভ্রাটের কারণে বিপুল পরিমান কনডেনসেট পাইপ লাইনে জমা হয়ে গ্যাস সরবরাহ অনিরাপদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল। তদুপুরি পাইপ লাইনের একটি অংশ জুড়ে থাকায় সরবরাহ ক্ষমতাও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিলো। তখন কাফকো, সিইউএফএল, শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ প্লান্ট সহ সকল বৃহৎ ,মাঝারি শিল্প কারখানা সমূহের সিএমএস সহ সঞ্চালন পাইপ লাইনের প্রান্তিক স্টেশন সমূহে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কন্ডেনসেট প্রবাহিত হওয়ায় নিষ্কাশণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। কোম্পানিতে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে সবে এসেছেন তিতাস গ্যাস এবং জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানিতে আমার প্রাক্তন উর্ধতন সহকর্মী আমার কর্মজীবনের অন্যতম সেরা গ্যাস প্রকৌশুলি শামসুদ্দিন আহমেদ। আমি সবেমাত্র ফিরেছি সিলেট অঞ্চলে পেট্রোবাংলার দুটি কোম্পানিতে ১৯৯৮৮ এবং ১৯৮৯ দুই বছর প্রেষণে কাজ করে। আমি ফেরার আগেই নতুন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বিজিএসএল সঞ্চালন বিভাগের সমন্বিত করে বাখরাবাদ -ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন অনস্ট্রাম পিগ্গিং কাজ সফল ভাবে শেষ করেন। আমি পুনরায় বিজিএসএল ফেরার পর আমাকে বাখরাবাদ -চট্টগ্রাম সঞ্চালন পাইপ লাইন পিগ্গিং কাজের বিস্তারিত পরিকল্পনা , বাস্তবায়ন কর্মসূচি এবং কৌশল সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি খণ্ডকালীন সরাসরি ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থেকে এই কাজ যথাশীঘ্র সম্পাদন করি।আমাকে শুরুতে একটি প্রস্তুতিমূলক দল গঠন করে যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহ ,ফ্যাব্রিকেশন , বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। আগেই বলেছি কুমিল্লা সদর দপ্তরে বোর্ড রুমে আমার অফিস স্থাপন করি। আমার সাথে কর্মজীবন শুরু করা প্রকৌশুলি সানোয়ার আহমেদ চৌধুরীর উদ্ভাবনী চিন্তাধারা বিষয়ে আমার জানা থাকায় আমি ওকে সঙ্গী করে বাখরাবাদ এবং ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রদ্বয়ের উৎপাদন রেকর্ডস সমূহ পর্যালোচনা করি এবং বিদ্যমান উৎপাদন অবস্থার প্রেক্ষিতে কি পরিমান গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনে জমা হতে পারে একটা ধারণা করি. আমি আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজ করা বিদেশী পরামর্শকদের মাধ্যমে অনেক পাইপ লাইন নির্মাণ এবং অপারেশন বিষয়ক সাময়িকী সংগ্রহ করতাম। এছাড়া ১৯৮৮ পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস সঞ্চালন এবং বিতরণ বিষয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ সময়ে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এছাড়া সানোয়ারকে সঙ্গী করে পাইপ লাইনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন কালে কনডেনসেট নিষ্কাশন এবং ডিস্পোজাল করতে কি ধরণের ফেব্রিকেশন প্রয়োজন , কোথায় পাওয়া যাবে উপকরণ ইত্যাদি বিষয় সমন্বিত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করি।এই কাজে সহকর্মী জয়নাল আবেদীন, শাহাদাৎ আলী, শহিদুল আবেদীন, সাইফুল আলম চৌধুরী আমাদের অনেক সহযোগিতা করে।আমরা কোম্পনীর কয়েকজন উদ্যোগী ফিটার , ওয়েল্ডার , ফোরম্যানকে নিয়ে নিজস্ব একটি ফ্যাব্রিকেশন দল গড়ে তুলি।
পাইপলাইন নির্মাণ কাজে বিশেষত ভাল্ব স্টেশনস, রোড ,রিভার , রেল ক্রসিংস , টিবিএস সমূহ নির্মাণ কাজে আমি এবং আমার দলে সানোয়ার থাকার অভিজ্ঞতা থাকায় আমাদের পক্ষে পিগ্গিং পরিকল্পনা করা সহজ হয়েছিল। ওই সময় মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন ) হিসাবে কর্মরত মেজর ( অব) রায়হানুল আবেদীন আমাদের অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন। ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমাদের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাব পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমূহের সঙ্গে আলোচনা করে বিস্তারিত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা পেশ করার নির্দের্শ প্রদান করেন।
প্রাথমিক ভাবে আমরা শহিদুল আবেদীন, জয়নাল আবেদীন, গুলজার হোসেন আলমগীর , শাহাদাত আলী, সাইফুল আলম চৌধুরী , মোহাম্মদ হাসানের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করি. আমাদের ধারণায় আনুমানিক ৩ লক্ষ লিটার কনডেনসেট সঞ্চিত আছে বলে প্রতীয়মান হয় যা পাইপ লাইনের ১২-১৫% আয়তন জুড়ে আছে বলে প্রতিয়মান হয় এই পরিমান কনডেনসেট চট্টগ্রাম সিটিগেট স্টেশনে সাময়িকভাবে সংগ্রহ , ডিস্পোজাল করাই ছিল নিরাপদ পিগ্গিং সম্পাদনের প্রধান চ্যালেঞ্জ। মে জুন মাস বর্ষাকাল সমাসন্ন। পাইপ লাইনের ভাল্ভ স্টেশনগুলো নিম্নাঞ্চলে বিধায় আমরা গ্যাস ক্ষেত্র , ফেনী আইসিএস , ফৌজদারহাট সিজিএস ,রিং মেইনের পিগ লাউঞ্চার ,রিসিভার স্টেশন সমূহে ফ্যাব্রিকেশন কাজের বিস্তারিত সময় সূচি প্রণয়ন করি।এই কাজ গুলো সানোয়ারের নেতৃত্বে বিজিএসএলের চৌকষ দল সংক্ষিপ্ত সময়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পাদন করে আমাদের কাজ সম্পাদন সহজ হয়েছিল। আমরা শহিদুল আবেদীন, জয়নাল আবেদীন, আমি , গুলজার আলমগীর এবং সাইফুল কয়েকটি উপদল করে পিগ্গিং কাজের বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করে নেই.মেঘনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওদের বেশ কিছু লিকুইড ফুয়েল ট্যাঙ্ক সাময়িক ভাবে ফৌজদারহাট সিজিএসে সংযোজন করি।গুলজার হোসেন কনডেন্সট ডিস্পোজাল কাজ অত্যন্ত সুচারু ভাবে সম্পাদন করেন। আমি এবং শহিদুল আবেদীন পিগ লোনচিং ,রিসিভিং , এবং সম্পূর্ণ পাইপলাইন পিগ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম, জয়নাল ভাইয়ের দায়িত্ব ছিল সিটিগেট স্টেশনের কার্যক্রম নিরাপদ রাখা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ সমন্বয়। স্বাভাবিক ভাবেই চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা বিতরণ এলাকার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল।সকল ধরণের কাজ সম্পাদন করে পিগ্গিং শুরু করতে নিবিড় বর্ষা এসে গেলো। কাজটির একপর্যায়ে সাময়িক ভাবে আমাদের চট্টগ্রাম এলাকায় সার কারখানা , বিদ্যুৎ প্লান্ট সহ শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করার প্রয়োজন ছিল।তাই এই বিষয়ে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হয়েছিল। আমাদের কাজের বিবরণী , ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে হয়েছিল। মোট কথা এটি ছিল রীতিমতো যুদ্ধ।
মনে আছে জুন মাসের বৃষ্টি মাথায় রেখে এক সকালে বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তিনটি পিগ লঞ্জ করা হলো।সবাই জানেন পাইপ লাইনে ১৫ টি ভাল্ভ স্টেশন যার ১৩ টি বিভিন্ন অঞ্চলে ,গ্যাস ফিল্ড এবং সিটি গেট স্টেশনে দুটি। প্রতিটি স্টেশনে আমাদের মনিটরিং দল নিদৃষ্ট দায়িত্বে ছিল। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন প্রতিটি স্টেশনে আমাদের প্রাক্কলিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট ব্যাবধানে পিগ অতিক্রম করে। আমরা গ্যাস ফিল্ড এবং ফৌজদারহাট সিটি গেট স্টেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে পিগের গতি ঘন্টায় ৫-৬ কিলোমিটার সীমিত রাখি। সকাল ৮ টা শুরু করে ১০:৩০ টা পিগ গুলো প্রথম মনিটরিং স্টেশন কুটুম্বপুর অতিক্রম করে। আমরা পেরুলে লাকসাম টিবিএস বিকেল ৫টা অতিক্রমের পর ফেনী সিজিএস পৌঁছায়। আমাদের নিদৃষ্ট মনিটরিং দল গুণবতীতে রাতের আঁধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মনিটরিং কাজ সম্পন্ন করে। রাতে আনুমানিক ১১ টা আমরা পিগ গুলো ফেনী আইসিএস রিসিভ করি।এই সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিজিএসে দুই একবার মৃদু কনডেনসেট প্রবাহিত হলেও চট্টগ্রাম এলাকায় কোনো গ্যাস গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় নি। সিটিগেটে জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে একটি দল পিগ রিসিভারের পাশে সতর্ক থেকে ফিল্টার সেপারেটর মারফত নিয়ন্ত্রিত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করছিলেন। আমরা ফেনী আইসিএসে পিগ গুলো বের করি এবং একটু পরিকল্পনা পুনঃ বিন্যাস করে পরদিন সকালে ফজরের নামাজের পর ইতিপূর্বে লঞ্চারে লোড করা পিগ গুলো ছেড়ে দেই। অপেরেশনের এই লেগটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামনে বিশাল কনডেনসেট কলাম , তিনটি নদী , চট্টগ্রাম সিটিগেট। আমাদের কিছক্ষন পর পর সিটিগেটের সঙ্গে সংযোগ করতে হচ্ছিলো। আমি কৃতজ্ঞ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং মহাব্যবস্থাপক অপারেশনের কাছে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য। প্রকৌশীলী সানোয়ার , শহিদুল আবেদীন আমার সাথেই ছিলেন। নিদৃষ্ট সময়ে কালিদাস পাহাড়িয়া নদীর দুই পাশের ভাল্ভ স্টেশন পার হওয়ার পর পিগ গুলো কোনো কারণে থমকে ছিল।মুহুরী নদীর পূর্ব তীরে ভাল্ভ স্টেশনটিতে আমাদের মনিটরিং টিম ছিল না।ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে সেখানে পৌঁছে দেখি ভালভ স্টেশনের বাই পাস সংযোগ খোলা রয়েছে। সম্ভবত কাজ শুরুর আগে পরিদর্শনকারী দলের নজর এড়িয়ে গাছে। সানোয়ার ভাল্ভ গুলো বন্ধ করার সাথে সাথে সাথে থমকে থাকা পিগ গুলো ছুতে গেলো। এর পর আমরা দুপুর নাগাদ শুভপুর ভাল্ভ ১২ পার করার পর সীতাকুণ্ডে ভাল্ভ স্টেশন ১৩ অবস্থান নেই। মনে আছে তুমুল বর্ষণ শুরু হয়। ভালভ স্টেশন ১৩ ভাল্ভ পিট্ জল মগ্ন। আমাদের কৌতুক প্রিয় সহকর্মী হাজরাত আলী ভালভ পিট্ থেকে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছিলো। বিকেল ৩ টা নাগাদ পিগগুলো ভালভ ১৩ অতিক্রম করলে আমরা একটি দলকে বাড়বকুন্ড টিবিএসে রেখে শীতলপুর ভাল্ভ ১৪ চলে যাই।আমরা বাড়বকুন্ড এবং সীতাকুন্ড এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্থগিত রাখা সীমিত করার জন্য একটি বাইপাস লাইন নির্মাণ করেছিলাম। মনে আছে ওই স্থানে কিছু সময় থেকে আমি চট্টগ্রাম সিটিগেট স্টেশন এবং চট্টগ্রাম বিতরণ এলাকার প্রকৌশুলীদের সাথে সমন্বয় করছিলাম। প্রকৌশুলি নজমুল হাসানের সঙ্গে এটি আমার শেষ সরাসরি কাজ ছিল।পরবর্তীতে নাজমুল বিতরণ কাজে বিতর্কিত হয়ে পরে।এই সময়ে কিন্তু থেকে থেকে চট্টগ্রাম সিজিএসে কনডেনসেট হলকা লাগছিলো। জয়নাল ভাইয়ের নিয়ন্ত্রণে টিম নিবিড়ভাবে কাজ করছিলো।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ) মারুফ খান আমাদের উৎসাহিত করতে ওই দিন চট্টগ্রাম আসেন। সঙ্গত কারণে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমাদের সুনিদৃষ্ট উপদেশ দিয়ে চট্টগ্রাম যান। আমাদের নিদৃষ্ট বিরতিতে অগ্রগতি জানাতে বলেন। বাড়বকুন্ড টিবিএস পার হবার পর আমরা চট্টগ্রাম সিজিএস পৌঁছে সহকর্মীদের সঙ্গে যোগদান করি।আমাদের সহকর্মী সাইফুল চৌধুরী সবার জন্য উপাদেয় খাবারের আয়োজন করেছিলেন। প্রায় ৫০ ঘণ্টা নিদ্রাহীন উৎবেগ আর ক্ষুদা নিয়ে সেদিনের খাবার অমৃত মনে হয়েছিল। আমরা পিগের গতি কিছুটা বাড়ানোর জন্য ফ্ল্যায়ারিং করতে থাকি সিজিএসে নিয়ন্ত্রিত ভাবে। তখন সিজিএসে আমার সঙ্গে সানোয়ার আর নাজমুল। উত্তেজনায় আমরা কখন পিগ ভাল্ভ ১৪ অতিক্রম করেছে নজর দেইনি। রাত ৮ টা নাগাদ টর্নেডোর মতো পিগ গুলো আঘাত হানে সিজিএস পিগ রিসিভারে। কাঁপাতে থাকে স্টেশন। আমরা তিন জন দ্রুত সবগুলো আউটলেট ভাল্ভ খুলে দেয়ায় ১০ মিনিট ৭০,০০০ লিটার কনডেনসেট জমা হয়। ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ছুতে আসেন। ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে পিগ নিয়ে আসেন উনি পিগ ট্রাপে। প্রথমে উনি আমাদের উপর কিছুটা বিরক্ত হলেও সহসাই কঠিন কাজটি সম্পাদন করায় অভিনন্দিত করেন। স্মরণে রাখবেন কাজটি পরবর্তী সময়ে যত সহজ মনে হয়েছে প্রথম অপারেশন ১৯৯০ তত তাতো সহজ ছিল না। ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮৩ পাইপলাইন কমিশনিং সময়ের স্মৃতি মনে ছিল। এবারের এই কাজটি ছিল আমাদের কয়েকজনের কাছে আরো একটি যুদ্ধ জয়। শ্রদ্ধেয় শামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কাজটি ছিল একটি অনন্য দলীয় সাফল্য। আমি বিশেষ করে সানোয়ারের উদ্ভাবনী কৌশলের প্রশংসা করবো। ওর নেতৃত্বে ফ্যাব্রিকেশন দল অসাম্মানো দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলো। সবার নাম মনে নেই তাই উলেখ করলাম না। নির্ঘুম থাকায় এবং একটি পোশাকে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি রোদে পাইপলাইন সময় কাটানোয় চেহারা কিম্ভূত কিমাকার হয়েছিল।
রিং মেইন পিগ কাজ রাতে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন শুরু করেছিলাম। লিখবো আগামী পর্বে।