সাকিব আল হাসানকে ব্যাটিংয়ে তিন বা চার নম্বরে দেখতে চান তামিম ইকবাল। এবং বোলিংয়ে চার ওভারের কোটা পূরণ করার পরামর্শ সাবেক অধিনায়কের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, দলের টপ অর্ডারকে জ্বলে উঠতে হবে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার জহির খানও মনে করেন এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞ সাকিব।
ক্রিকইনফোকে তামিম ইকবাল বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়। বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও সে। আপনার বড় খেলোয়াড়কে অবশ্যই বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে হবে।’ সাকিবকে পিচে সেট হওয়ার জন্য উপরের দিকে খেলানোর পরামর্শ তামিমের। তামিম বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে যদি তার সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে তাকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে উঠে আসতে হবে এবং নিজেকে বেশি ওভার খেলার সুযোগ দিতে হবে। এভাবেই সে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করছে। তাহলে কেন সাকিবকে তিন বা চার নম্বরে পাঠিয়ে থিতু হওয়ার সময় দেওয়া হবে না? বিশ্বের যেকোনো সেরা বোলিংয়ের বিপক্ষে পাল্টা আক্রমণ করার মতো অভিজ্ঞতা তার আছে।’
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিব বোলিং করার আগেই বৃষ্টি আইনে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
তামিম মনে করেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক কিংবা উইকেটে যাই থাকুক, সাকিবের ৪ ওভার শেষ করা উচিত। তামিম বলেন, ‘বাঁহাতি ব্যাট করছে নাকি ডানহাতি ব্যাট করছে সেসব ভুলে তাকে ৪ ওভার বল করতে হবে। হ্যাঁ, দলের ফাস্ট বোলিং ইউনিট ভালো করছে। কিন্তু সাকিব আল হাসান দলের সেরা বোলার। অনেক বছর ধরে সে তার কাজটা করে আসছে।’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভালো কিছু করার তাগিদ দিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। বাংলাদেশের বোলিং ভালো করছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ১৬০-৭০ রানের সংগ্রহ এনে দিতে হবে। বিশেষ করে অ্যান্টিগায়, যেখানে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাই এগিয়ে আসতে হবে এবং বোলারদের জন্য ভারতের ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ করার মতো কিছু করতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে দারুণ কিছু করে দেখাতে হলে ব্যাটিংয়ে সাকিবকে ভালো করতে হবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার জহির খানও। জহির খান বলেন, ‘সাকিবের ভালো ছন্দে থাকা জরুরি। তাকে রান করতে হবে। কারণ, আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ যখনই ভালো করে, তার সঙ্গে সাকিবের কোনো না কোনো সংযুক্তি থাকেই। লম্বা সময় ধরে এটা আমরা দেখে আসছি। বাংলাদেশের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহকেও ভালো ছন্দে দেখা যাচ্ছে। তাওহিদ হৃদয়ের ওপরও দায়িত্ব থাকবে ভালো করার। ভালো শুরু এনে দেওয়া লিটন কুমার দাসেরও দায়িত্ব।’